সমর্থকদের জন্য দুর্দান্ত একটা ম্যাচ। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে! সঙ্গে রাজস্থান রয়্যালস সমর্থকদের জন্য আরও বড় প্রাপ্তি, জস বাটলারের ফর্মে ফেরা এবং টিমের জয়। এ বারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুটো দল এখনও অবধি অপরাজিত। একটি কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং অন্য দল রাজস্থান রয়্যালস। টানা চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থান দখল করলেন সঞ্জুরা।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম রাজস্থান রয়্যালস। রাজকীয় লড়াই। সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান প্রতিনিয়ত চমক দিচ্ছে। এই টিমের ব্যাটিং বেশি শক্তিশালী না বোলিং, বোঝা কঠিন। প্রয়োজনের সময় দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। আরসিবির বিরুদ্ধে বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি রাজস্থানের। বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি জুটি অনবদ্য ব্যাটিং করে। রাজস্থানের ফিল্ডিং মিসও আরসিবির ওপেনিং জুটির কাজ সহজ করে।
বিরাট কোহলির অপরাজিত ১১৩ রান, ফাফ ডুপ্লেসির ৪৪। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৩ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএল কেরিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির পর বিরাট কোহলি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, এই রান যথেষ্ঠ। তার কারণ, পিচ মন্থর। স্লোয়ার দিলে শট খেলতে আরও সমস্যা হচ্ছে। যদিও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বোলাররা সেই ভরসা রাখতে পারলেন না।
এ বারের আইপিএলে রাজস্থান টানা জিতলেও চিন্তা ছিল জস বাটলার এবং যশস্বী জয়সওয়ালের ফর্ম। প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠলেন বাটলার। রান তাড়ায় শুরুতেই যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট হারায় রাজস্থান। ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েন বাটলার। সঞ্জু আউট হতেই উল্টোদিক থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেলও। তবে বাটলার কোনও অঘটনের সুযোগ দেননি। ছয় মেরে নিজের সেঞ্চুরি এবং দলের টার্গেটও পেরিয়ে যান জস বাটলার। ৫ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয়।