আর কত ধৈর্যের পরিচয় দেবেন সমর্থকরা? আর কতবার ভাববেন, পরের ম্যাচে ঠিক রান পাবেন বিরাট? আর কতবার ভক্তদের সেই আশায় জল ঢালবেন তিনি! এ উত্তরের আশা হয়তো এবার ত্যাগ করলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এককালের বোলারদের ত্রাস হয়ে ওঠা বহু সেঞ্চুরির মালিকের ঝুলি এখন খাঁ খাঁ করছে। তিন নম্বরে লাগাতার ব্যর্থতা সত্ত্বেও তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার কথা যেন ভাবাই যায় না। বরং ওপেনিং করার সুযোগ তৈরি করে তাঁকে রানে ফেরানোর বন্দোবস্ত করা হল। কিন্তু সে গুড়েও বালি। আরও একবার ব্যর্থতার ইতিহাস রচনা করে গেলেন ‘কিং’ কোহলি। সেই সঙ্গে হারল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরও। আর চেনা ছন্দ ধরে রেখে লিগ তালিকার শীর্ষে উঠে এল রাজস্থান রয়্যালস।
নেতৃত্বের ভার মুক্ত হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোহলি। খারাপ ফর্মে থাকা তারকার সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছিলেন তাঁর ভক্তরা। কিন্তু কোথায় কী! এদিন রাজস্থানের বিরুদ্ধে ওপেন করেও প্রসিধ কৃষ্ণের বলে ১০ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। আউট হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় আবার হাসতে দেখা গেল কোহলিকে। আর তাতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে। নেটদুনিয়ায় তুমুল কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ককে।
মঙ্গল-সন্ধেয় অবশ্য বিরাট একা নন, ব্যাট হাতে ব্যর্থ গোটা টিমই। অশ্বিন-কুলদীপ সামনে রীতিমতো অসহায় দেখাল ম্যাক্সওয়েল-শাহবাজদের। তাই তো তুলনামূলক সহজ টার্গেটেও পৌঁছতে পারলেন না তাঁরা। ৫৮ রানে ৪ উইকেট খোয়াতেই ম্যাচ হয়ে পড়েছিল একপেশে। চলতি মরশুমে নজরকাড়া দীনেশ কার্তিকও এদিন নিরাশ করলেন। ৬ রানেই আউট তিনি। আর একের পর এক ব্যাটারদের সাজঘরে ফিরিয়ে অনন্য রেকর্ডের মালিক হয়ে যান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিশ্বের অষ্টম বোলার এবং ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে আইপিএলে দেড়শো উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন তিনি। এই ম্যাচে নামার আগে তাঁর ঝুলিতে ছিল ১৪৯টি উইকেট। এদিন ১৭ রান দিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট।
এদিন যদিও রাজস্থানের টপ অর্ডারে ধস নামিয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন ডু প্লেসিসরা। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেন রিয়ান পরাগ। তবে ১৪৪ রান করেও যেভাবে তিন বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেল আরসিবি, তা নিঃসন্দেহে চিন্তায় ফেলবে দলকে। কোহলির পরিবর্তে কি এবার সত্যিই কারও সুযোগ পাওয়া উচিত? সমর্থকদের ধৈর্যের বাঁধ কি এবার ভাঙার পালা?