শতরানে শচিনকে টপকে ইতিহাসে বিরাট

ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লিগের ম্যাচে শতরান করতেই শচিন তেন্ডুলকরের বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি। এরপর ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করার সুবাদে শচিনকে টপকে এককভাবে বিশ্বরেকর্ড নিজের দখলে নিলেন কোহলি।

সেমিফাইনালে ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার পর টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধরা পড়লেন বিরাট কোহলি। জানালেন শচিন তেন্ডুলকরের সামনে তাঁরই বিশ্বরেকর্ড ভাঙার অনুভূতি। শুধুই কি শচিন? কোহলির ক্রিকেটজীবনের বিশেষ দিনে গ্যালারিতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাও।

কিছু ক্ষণ আগেই ৫০তম শতরান করে ভেঙে দিয়েছেন শচিনের এক দিনের ক্রিকেটে সব থেকে বেশি শতরানের বিশ্বরেকর্ড। তখনও যেন কোহলি বুঝতে পারছিলেন না, কী ভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করবেন। ‘ভাল, মনে হচ্ছে…।’ কথার শুরুতেই কথা হারালেন কোহলি। কিছুটা থেমে আবার শুরু করলেন কোহলি। ‘গ্যালারিতে শচিন পাজি ছিলেন। সেই মুহূর্তে কেমন অনুভূতি হচ্ছিল, এটা আমার পক্ষে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। গ্যালারিতে আমার জীবনসঙ্গী। আমার হিরো। সবাই বসেছিলেন। আর ওয়াংখেড়ের এত ভক্ত। না, আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’ কথা বলতে গিয়ে কোহলির এমন বার বার আটকে যাওয়া দেখতে অভ্যস্ত নন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সাবলীল ভাবে কথা বলেন সব সময়। সেই কোহলিই নিজের আদর্শের রেকর্ড ভাঙার পর যেন সব তালগোল পাকিয়ে ফেলছিলেন। আবার সাবলীল হন ম্যাচের কথায়।

১৯.৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ভারত করে ১৫০ রান। আর এখানেই আরও এক নজির গড়ে টিম-ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপের এক ইনিংসে যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম ১৫০ রান। চলতি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচেই ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া ১৪.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ১৫০ করেছিল। ২০১১ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৯.১ ওভারে নাগপুরে ভারত ১ উইকেটে ১৫০ করেছিল। সেটা দ্বিতীয় দ্রুততম ১৫০ রানের নজির। নিউজিল্যান্ড আবার ১৯৯২ বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৯.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৫২ করেছিল। ভারত এদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদেরই ৩১ বছর আগের রেকর্ড স্পর্শ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 11 =