অফ ফর্ম নিয়ে ক্রমাগত চলতে থাকা সমালোচনার অবশেষে জবাব দিলেন বিরাট

এশিয়া কাপের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ার সেরা দল হওয়ার লড়াই। তার আগে ভারত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। ভারতের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ বিরাট কোহলির হতশ্রী ফর্ম। ব্যাটিং মায়েস্ত্রোর ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থ হয়েই চলেছেন।
দেখে মনে হচ্ছে তিনি যেন ব্যাট করতেই ভুলে গিয়েছেন।

চলছে অবিরত সমালোচনা, এবার মুখ খুললেন কোহলি। এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেল কোহলির উদ্ধৃতি তুলে ধরে ট্যুইট করেছে। সেখানে কোহলি তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য জানিয়ে দিয়েছেন। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, “আমার আসল লক্ষ্যই হচ্ছে ভারতকে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ জেতানো। দলের জন্য আমি যে কোনও কিছু করতে রাজি আছি।” ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ খেলে বিরাট বিশ্রাম নিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সাদা বলের ক্রিকেট খেলছেন না তিনি। অনেকেই মনে করছেন যে, এশিয়া কাপের আগে বিরাট জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে খেলেই নিজেকে ঝালিয়ে নিক।
চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। ১৬ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ১৬ দলের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে বিশ্বসেরা হওয়ার দৌড়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। গত বছর কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে বিরাটের নেতৃত্বে ভারত গ্রুপ পর্যায় থেকেই ছিটকে গিয়েছিল। এবার রোহিতের ক্যাপ্টেনসিতে খেলবেন তিনি। আইপিএল থেকে শুরু করে দেশের হয়ে টেস্ট, ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেটে তিনটি ফর্ম্যাটেই রান তুলতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন বিরাট। প্রায় তিন বছর হতে চলল, অফ ফর্মে বিরাট। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দিন-রাতের টেস্টে শেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই ব্যাটে আর রান নেই! দেখা যাক এশিয়া কাপে বিরাট রানে ফেরেন কিনা!
১৯৮৪ সালে শুরু হয় এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। বিগত ১৪ বছরে ভারত ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ভারতের পরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১৪) হয় তারা। পাকিস্তান দু’বার (২০০০, ২০১২) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দু’বছর অন্তর এশিয়ার সেরা হওয়ার লড়াই হয়। কিন্তু করোনার ধাক্কায় ২০২০ সালে এশিয়া কাপ বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এরপর ২০২১ সালে টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেষ্টা করে এসিসি। কিন্তু ফের সেই কোভিডের কারণেই টুর্নামেন্ট ভেস্তে যায়। এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারত সর্বোচ্চ ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − nineteen =