ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঐতিহাসিক শততম টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রানের বিশাল স্কোর ভারতের। প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১৪১ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচেও রাশ রোহিতদের হাতেই। প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশনে খেই হারিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং। তবে বিরাট কোহলি-রবীন্দ্র জাডেজা জুটি পরিস্থিতি সামাল দেয়। দ্বিতীয় দিন অপেক্ষা ছিল বিরাট কোহলির শতরানের। প্রথম ঘণ্টাতেই তা হয়। ১২১ রানে ফেরেন বিরাট। বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাডেজার রানিং বিটউইন দ্য উইকেট কতটা ভালো, তা আর নতুন করে বলার নেই। দ্বিতীয় দিনও তার নানা ঝলক দেখা গেল। গ্যাপে বল ঠেলে সিঙ্গল-ডবল বের করে নিচ্ছিলেন। বিরাট কোহলি শতরান পেরোলেও ফোকাস হারাননি। ক্রমশ বড় রানের দিকে এগচ্ছিলেন। কিন্তু তাল কাটল রান-আউটেই। ব্যক্তিগত ১২১ রানে আরও একটা সিঙ্গল নিতে দৌড়েছিলেন। স্কোয়ার লেগ থেকে আলজারি জোসেফের ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট। অনবদ্য ব্যাটিং করছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। কেমার রোচের একটি ডেলিভারি ব্যাটে সামান্য ছোঁয়া লেগে কিপারের হাতে। মাঠের আম্পায়ার মারিয়াস এরাসমাস অবশ্য শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্নিকোমিটারে সামান্য স্পাইক দেখা যায়। ৬১ রানে কট বিহাইন্ড জাড্ডু। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা ঈশান কিষাণ শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছিলেন। স্কোয়ারলেগে তাঁর ক্যাচও মিস হয়। পরের বলেই কট বিহাইন্ড ঈশান কিষাণ। ৩৭ বলে ২৫ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ভারতীয় ইনিংসে ভরসা দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। এ দিন বিধ্বংসী ব্যাটিং করলেন। সঙ্গীর অভাব হওয়ায় শেষ দিকে মারমুখী রূপ অশ্বিনের। ৫৬ রানে অশ্বিন আউট হতেই ভারতের ইনিংস শেষ।