ভিন্টেজ আরসিবি, ২৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভয় ধরিয়ে জয়!

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বারের মরসুমে ব্যাটিং দাপটই দেখা গিয়েছে। ম্যাচটা যদি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মাঠে হয়, তা হলে তো কথাই নেই। এই মাঠেই আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এমনিতেই ছোট মাঠ। তার উপর ব্যাটিং পিচ। তবে চিন্নাস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম গুজরাট টাইটান্স ম্যাচে দেখা গেল লো-স্কোরিং রুদ্বশ্বাস ম্যাচ।

ঘরের মাঠে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত ফাফ ডুপ্লেসি। গত দু-ম্যাচে বিধ্বংসী পারফর্ম করেছিল আরসিবি। বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার, উইল জ্যাকসের বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখা গিয়েছে। চিন্নাস্বামীর পিচে তাই রান তাড়াই সুরক্ষিত বিকল্প। বোলাররা এত সুন্দর পারফর্ম করেছে, কোনও প্রশংসাই যথেষ্ঠ নয়। ব্যাটিংয়েও শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। হঠাৎই খেই হারায় আরসিবি। আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল চিন্নাস্বামীর গ্যালারিতে।

গুজরাট টাইটান্সের টপ অর্ডার ফর্মে নেই। আরসিবির মাঠে আবারও ব্যর্থ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট ঋদ্ধিমান সাহা। দ্রুতই একই পথে ক্যাপ্টেন শুভমন গিল ও সাই সুদর্শন। মিডল অর্ডারে শাহরুখ খান, ডেভিড মিলার, রাহুল তেওয়াটিয়া ৩০-র ঘরে রান করেন। ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি টাইটান্স। মাত্র ১৪৭ রানেই শেষ শুভমনদের ইনিংস। মহম্মদ সিরাজ, যশ দয়াল এবং বিজয়কুমার বিশাখ দুটি করে উইকেট নেন।টার্গেট ১৪৮ রান। বিরাট কোহলি-ফাফ ডুপ্লেসির দুর্দান্ত শুরু। মনে হচ্ছিল ১০ উইকেটে জিতে নেট রান রেটে বিশাল উন্নতি করবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। হঠাৎই কিছুক্ষণের জন্য সব এলোমেলো। ওপেনিং জুটিতে ৯২ রান যোগ করে আরসিবি। কিন্তু ৯২-০ থেকে ১১৭-৬! এমন বিপর্যয় প্রত্যাশা করেনি চিন্নাস্বামীর গ্যালারি। ডুপ্লেসি ৬৪ রানে ফেরেন। বিরাট করেন ৪২ রান। শেষ অবধি দীনেশ কার্তিক ১২ বলে ২১ ও স্বপ্নিল সিং ৯ বলে ১৫ রান, অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৩৮ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয় আরসিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 6 =