টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে জাপান হেরে গেলেও আশা ছিল দক্ষিণ কোরিয়া হয়তো ব্রাজিলকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলবে। কিন্তু কোথায় কী? বিশ্বকাপে সাম্বা ব্রিগেডের কাছে বিধ্বস্ত এশিয়ার বাঘেরা। ভিনিসিয়ার জুনিয়র, নেইমার, রিচার্লসন, লুকাস পাকুয়েতা। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাজিলের এই চারজন ম্যাচের ভাগ্য রচনা করে দিলেন প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই। ঝড়ের গতিতে আক্রমণ, ওয়ান টাচ, উইং প্লে – দক্ষিণ কোরিয়া কিছু বুঝে ওঠার আগেই খেলাটার ভাগ্য নির্ণয় হয়ে গেল। আজকের আগে পর্যন্ত ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছিল ৭ ম্যাচে। যেখানে আধিপত্য পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। সাত ম্যাচের মধ্যে ৬টিতেই জিতেছিল হলুদ শিবির। ৬টিই ছিল প্রীতি ম্যাচ।
বিশ্বকাপের মঞ্চে সাক্ষাৎকার ছিল আজকেই প্রথম। এর মধ্যে শেষ চার দেখায়ই ব্রাজিলের কাছে একাধিক গোলে হেরেছে কোরিয়া। শেষ চার ম্যাচে সন হিয়ং মিনের দলকে তারা দিয়েছিল ১৩ গোল। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ গোলের বিপরীতে ব্রাজিল দিয়েছিল ১৬ গোল। দক্ষিণ কোরিয়া ২০০২ বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে উঠে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। সে আসরে ইতালি, পর্তুগাল ও স্পেনের মতো দলকে হারিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এশিয়ান টাইগাররা। এরপর অবশ্য আর কখনোই সে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেনি তারা। ২০১০ সালের পর ফের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ান টাইগাররা।সন হিউং-মিন, হোয়াং হি -চ্যাঙ, কিম মিন-জি, চো গুয়ে সংদের দল যে আজ ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মাঠে নিজেদের উজাড় করে দেবে তাতে সন্দেহ ছিল না একবিন্দু।
কিন্তু ব্রাজিল দেখিয়ে দিল তারা সঠিক সময় জ্বলে উঠতে জানে। আজ প্রথম থেকেই ছিলেন নেইমার। ছিলেন দানিলো। প্রথম বাঁশি থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ল ব্রাজিল। দক্ষিণ কোরিয়াকে দেখে মনেই হয়নি, তারা উরুগুয়ে, পর্তুগালের মত বড় দলের বিরুদ্ধে এত ভাল ফুটবল খেলেছে। নেইমার ফ্রি ফুটবলারের ভূমিকায় জায়গা পরিবর্তন করে খেললেন। দ্বিতীয়ার্ধে গোল ব্যবধান বাড়ানোর জন্য খুব একটা মরিয়া হয়নি ব্রাজিল। গোল না খেয়ে শেষ করাই ছিল উদ্দেশ্য। ৭৬ মিনিটে অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে গোল করে ব্যবধান কমান পাইক। দর্শনীয় গোল। ব্রাজিল নিয়ে আসে মারটিনেলি এবং দানি আলভেসকে।৮০ মিনিটে তুলে নেওয়া হল নেইমারকে। স্বাভাবিকভাবেই দলের সেরা ফুটবলারকে নিয়ে বেশি ঝুঁকি নিলেন না তিতে।