যাঁকে নিয়ে কিছুদিন আগে বিপ্লব হয়েছে কুস্তিতে, যাঁর জন্য ‘দঙ্গল’এ পা মিলিয়েছিলেন নামী কুস্তিগিররা, সেই তাঁকে ঘিরেই এবার পদকের স্বপ্ন। যে আগ্রাসন তুলে ধরেছেন অলিম্পিকের ম্যাটে, তা যদি ধরে রাখতে পারেন, তা হলে অলিম্পিক থেকে প্রথম রুপো কিংবা সোনার আশাও পূরণ হয়ে যেতে পারে। সোনা-রুপোর ম্যাচ থেকে মাত্র এককদম দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিনেশ ফোগাট। প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওকসানা লিভাচকে ৭-৫ হারিয়ে চমকে দিলেন বিনেশ। স্বপ্নপূরণ হলে আজ রাতেই হয়তো পোডিয়ামে উঠে পড়বেন ভারতের মেয়ে। সেমিতে তাঁর প্রতিপক্ষ কিউবার ইউসনেয়ালস গুজমান।
এক সময় নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি। যা নিয়ে সোচ্চারও হয়েছিলেন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল পুরো কুস্তি সমাজ। বজরং পুনিয়া সহ দেশের প্রথম সারির সব কুস্তিগিরই গণঅবস্থানেও বসেছিলেন। সেই সময়কার রেসলিং ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে চাপে পড়ে পদ ছাড়তেও হয়। কিন্তু ওই ঘটনায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। ফোকাসও হারিয়ে ফেলেছিলেন অনেকটা। কিন্তু অলিম্পিকে নিজেকে দেখার জন্য আবার ফিরে এসেছিলেন। সেই মেয়েতেই এখন চোখ সারা দেশের। রাউন্ড অফ সিক্সটিনে তিনি টোকিও অলিম্পিকের সোনাজয়ী কুস্তিগির, বিশ্বের এক নম্বর উই সুসাকিকে হারিয়ে চমকে দেন। ওই বাউটেই দেখা গিয়েছিল, তিনি দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। বিপক্ষকে আক্রমণের সুযোগ পর্যন্ত দেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে সেই তিনি আরও আগ্রাসী ছিলেন।
দ্বিতীয় বাউটে কিন্তু ওকসানার বিরুদ্ধে একবার চাপে ছিলেন না বিনেশ। বিশেষ করে যখন ওকসানা পয়েন্ট তুলতে মরিয়া ছিলেন, তখনও ঠান্ডা মাথায় বাউট চালিয়ে যান। আসলে ফোগাট জানেন, একবারের জন্য ফোকাস নষ্ট করলেই পদকের লড়াই থেকে হারিয়ে যাবেন। এ বার অন্তত তা হতে দিতে চান না। বিনেশের যে আরও অনেক জবাব দেওয়া বাকি।