বেহাল পথ নিজেরাই মেরামতের উদ্যোগ গ্রামবাসীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: গ্রামের সিংহভাগ মানুষ বিজেপি সমর্থক হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গ্রামের একটি রাস্তা সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। এহেন অভিযোগেই উত্তাল হল বাঁকুড়ার ইন্দাসের আমরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাগ্রাম। বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি নিজেরাই রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিলেন তাঁরা।
গ্রামবাসীদের দাবি, দীর্ঘ ১১ বছর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটির কোনও সংস্কার হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েতে বারবার জানিয়েও কোনও সুফল মেলেনি বলে অভিযোগ। আর তাই বেহাল রাস্তার ওপর দাঁড়িয়েই গ্রামের প্রমীলা বাহিনী বিক্ষোভ দেখাল। পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের মুখাপেক্ষী না থেকে ঝুড়ি, কোদাল হাতে নিজেদের রাস্তা নিজেরাই সারানোর কাজ শুরু করলেন গ্রামবাসীরা। পুরুষদের সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে এই কাজে সামিল হলেন গ্রামের মহিলারাও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কলাগ্রামের পালপাড়ায় প্রায় ৩০-৩৫টি পরিবারের বসবাস। গ্রামে একটি প্রাথমিক ও একটি জুনিয়র হাই ßুñল রয়েছে। ওই ßুñল দু’টির ছাত্র-ছাত্রীদের নিত্য যাতায়াত ছাড়াও গ্রামের মানুষের বহির্জগতের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। আর এই রাস্তা সংস্কার না হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করছে বলে গ্রামবাসীদের তরফে স্পষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইন্দাস ব্লক এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তৃণমূল জয়ী হলেও জেলা পরিষদে নির্বাচন হয়। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় জেলা পরিষদের ওই আসনটি তৃণমূল জিতলেও কলাগ্রাম বুথে এগিয়ে আছে বিজেপি। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ বিজেপি সমর্থক হওয়ার কারণেই ওই রাস্তা সংস্কার হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
গ্রামের মানুষের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপিও। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস জানান, মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। সরকারি বরাদ্দ টাকা তৃণমূলের লোকেরাই ভাগ করে নিচ্ছে। শাসকদলের পদলেহনকারী প্রশাসনের কাছে গিয়েও মানুষ সুবিচার পাচ্ছেন না বলে তিনি দাবি করেন। অন্যদিকে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু ব¨্যােপাধ্যায়ের দাবি, তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নন, উন্নয়নে বিশ্বাসী। কোথাও রাস্তাঘাটের সমস্যা থাকলে, আগামী দিনে সেখানে কাজ হবে বলে তিনি দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − four =