নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: মঙ্গলবার বর্ধমানের বাদশাহি রোড এলাকায় জঙ্গল থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। মৃতার নাম সোনিয়া দাস। যদিও স্থানীয়দের দাবি, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাঁকে মেরে দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় অমিত দাস নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচ আগে মহিলার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। বিচ্ছেদ হয়ে যায় দু’জনের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অমিত দাস নামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বেশ কয়েকমাস আগে দু’জনের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। তারপর থেকে তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিলো না। গত সোমবার রাতে অমিত দাস সোনিয়াকে জোর করে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান। তা বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী দেখেন। আর তারপরের দিন জঙ্গলের ভেতর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। তাই সঠিক বিচার পেতে শনিবার কৃষ্ণপুর গুমটি ফটকের গ্রামবাসীরা বর্ধমান থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ™রে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।