নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বর্ষার মাঝেই বাঁকুড়ার ছাতনায় থাবা বসাল ডায়েরিয়া। ছাতনার তাঁতিপুকুর এলাকায় ইতিমধ্যেই ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। যদিও ডায়েরিয়ায় মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি স্বাস্থ্য দপ্তর। এলাকায় আক্রান্ত আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনার খবর পেতেই মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে এলাকায়। কারণ খুঁজতে এলাকার পুকুর ও পানীয় জলের নলকূপ থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য দপতর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের তাঁতিপুকুর এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে বলে দাবি। আরও দাবি, ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সর্বপ্রথম এলাকার এক রোগী ১৭ অগসট ভর্তি হন ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এরপর থেকেই একে একে এলাকার বেশ কয়েকজনের পেট ব্যাথা, বমি ও মলের উপসর্গ দেখা দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি কার্তিক বাউরি নামে এক রোগী গত ১৯ অগসট মারা যান। ২১ অগসট নিজের বাড়িতে একই উপসর্গে মারা যান শঙ্করী বাউরি। চিকিৎসারত অবস্থায় এদিন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় তাঁতিপুকুর গ্রামের বাসিন্দা বাবলু বাউরির।
যদিও ওই তিনজনের মৃত্যু ডায়েরিয়ার কারণে নয় বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য দপতর। এদিকে এলাকায় ডায়েরিয়া খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দপতর। তড়িঘড়ি মঙ্গলবার এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়। অসুস্থদের চিকিৎসা করার পাশাপাশি অসুসথতার কারণ খুঁজতে এলাকার পানীয় জলের নলকূপ ও ব্যবহার্য পুকুরের জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না এলেও আপাতত এলাকাবাসীকে পুকুরের জল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।