কলকাতা : কথায় আছে, মশা মারতে কামান দাগা!
কামানে মশা মরে কি না জানা নেই, তবে মশা মারতে এবার বাজারে আসছে ভিয়েতনামের মশারি।
ভাবছেন তো মশারি তো মশা আটকায় সবাই জানে। কিন্তু মশারি মশা মারবে কী করে? আসলে ভিয়েতনামে একধরনের মেডিকেটেড মশারি তৈরি করা হয় যা সে দেশে ম্যালেরিয়া রুখতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। এই মশারির নাম লং-লাস্টিং ইনসেক্টিসাইডাল নেটস । এই ধরনের মশারি ম্যালেরিয়ার কিউলেক্স মশার যম। তবে শুধু কিউলেক্স মশা নয়, ডেঙ্গি এডিস ইজিপ্টাই মশা বা যে কোনও ধরনের বিষাক্ত পোকামাকড় থেকেও রেহাই দেবে এই মশারি। এর গায়ে কীটনাশকের কোটিং করা আছে যা মশার লালায় ঢুকলেই তার মৃত্যু হবে।
জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মশাকে জব্দ করতে ভিয়েতনামি মশারি বিলি করবে কলকাতা পুরসভা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা মশারির গায়ে এমন একধরনের কীটনাশকের স্তর আছে যাতে বসলেই মশা আটকে যাবে। মশারির নেটের মধ্যে আটকে ছটফট করতে করতে মরবে।
এই ধরনের মশারির নেট খুব শক্ত সুতি বা সিন্থেটিক উপাদানে তৈরি। সাদা রঙের মশারি ওজনে হাল্কা এবং মশারির নেটগুলো এমনভাবে তৈরি যাতে ভেতরে যথেষ্ট হাওয়া চলাচল করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরে যখন মশারি টাঙাবেন না, তখন কিন্তু নেট গুটিয়ে রেখে দেবেন না। বরং ঘরের একপাশে ঝুলিয়ে রাখুন। তাতেও মশা কম ঢুকবে ঘরে।
বর্ষার শুরু থেকেই শহরে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া-সহ মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মৃত্যুও হচ্ছে। মশা মারতে তেল ছড়ানো, মাঝেমধ্যে গাপ্পি মাছ ছাড়া-সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হলেও, মশাদের বাগে আনা যাচ্ছে না। এবার মশা মারতে ভিয়েতনামের মশারি আনার ভাবনা। তাতে যদি কাজ হয়।
সূত্রের খবর পুরসভার তরফে প্রত্যেকটি বোরো এলাকা ধরে হিসাব করে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী মেডিকেটেড মশারির জন্য অর্ডার পাঠানো হবে।