ব্রাজিলের (Brazil) নির্বাচনে ধাক্কা খেলেন অতি দক্ষিণপন্থী নেতা জাইর বোলসোনারো। সেদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বামপন্থী নেতা লুলা ডা সিলভা (Lula da Silva) বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের গত নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি, কারণ তাঁকে জেলে বন্দি করেছিল তৎকালীন সরকার। দীর্ঘদিন জেলে কাটানোর পরে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন লুলা। তাঁর এই সাফল্যকে গণতন্ত্রের জয় বলেই অভিহিত করেছেন সেদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। অতি দক্ষিণপন্থী নেতা বোলসোনারোকে (Jair Bolsonaro) সরিয়ে এবার ব্রাজিলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন লুলা। ব্রাজিলের নয়া প্রেসিডেন্টকে নানা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরে সোমবার তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট করে লুলার প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি।
গত রবিবার প্রকাশিক নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মোট বৈধ ভোটের ৫০.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন লুলা। অন্য দিকে বোলসোনারো পেয়েছেন ৪৯.২ শতাংশ ভোট। ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট, রিও ডি জেনেইরোর মসনদে বসতে চলেছেন লুলাই।
জয়ের পর প্রেসিডেন্ট হিসাবে বক্তৃতা দিতে গিয়ে লুলা বলেছেন, দেশে শান্তি ও একতা ফিরিয়ে আনাই তাঁর মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করবেন তিনি। বর্তমানে তীব্র খাদ্য সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ব্রাজিল। সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে অবিলম্বে লিঙ্গ বৈষম্য ও জাতিগত ভেদাভেদ দূর করতে হবে, এমনটাই মত ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্টের। সেই সঙ্গে অ্যামাজন অরণ্য-সহ নানা প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতেও বদ্ধপরিকর লুলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হারের ফলে বড় ধাক্কা খেল ব্রাজিলের অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতি।
অক্টোবর মাসে ব্রাজিলের (Brazil President) সাধারণ নির্বাচন হয়। সেখানে জয় পাওয়ার বিষয়ে একেবারে নিশ্চিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো ও তাঁর দলের কর্মীরা। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, টানা দ্বিতীয়বার বোলসোনারোর নেতৃত্বে ব্রাজিলে সরকার গঠন হতে চলেছে। আমজনতা থেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ- কেউই ধারণা করতে পারেননি যে নির্বাচনে জিততে পারেন লুলা। ৫২৮ দিন কারাবাসের পর বেরিয়ে এসে নির্বাচনে লড়েছিলেন লুলা। জয়ের পর ব্রাজিলের জাতীয় পতাকার উপরে হাত রেখে একটি ছবি পোস্ট করেছেন লুলা। ছবির ক্যাপশনে একটিমাত্র শব্দ- গণতন্ত্র।