অঞ্জলিকাণ্ডে এক অভিযুক্তকে চিনতেন নিধি, পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অঞ্জলিকাণ্ডে প্রথম থেকে প্রশ্নের মুখে বন্ধুর নিধির ভূমিকা।দুর্ঘটনার পর নিধি কেন চুপ ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অঞ্জলির পরিবার। এবার নিধিকে নিয়ে আরও বড় তথ্য প্রকাশ্যে।কানঝাওয়ালা কাণ্ডে সঙ্গে যে দীপকের নাম জড়িয়েছে তাকে আগে থেকেই চিনতেন নিধি এমনটাই অভিযোগ অনেকেরই। এটাও প্রমাণিত যে বর্ষবরণের রাতে নিহত অঞ্জলির সঙ্গে একউ স্কুটিতে চেপে ফিরছিলেন নিধি। তবে দুর্ঘটনার পর পুলিশকে কোনও খবর দেননি নিধি। দু’দিন পর সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষার পর তাঁর সন্ধান পায় পুলিশ। এদিকে আবার নিহত তরুণী মদ্যপ হয়ে স্কুটি চালাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন নিধি। নিধির এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্য বলে পালটা দাবি করে নিহত তরুণীর পরিবার।এদিকে নিধি সম্পর্কে সামনে এসেছে আরও ভয়ঙ্কর এক তথ্য। গাঁজা পাচার মামলায় ২০২০ সালে নিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানা যায়।আর সেই সূত্রেই অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর পরিচয় নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ।

সূত্রে খবর, বছর দুই আগে আগ্রা স্টেশন থেকে গাঁজা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় নিধি এবং তাঁর দুই সহযোগীকে।দীপক নামে এক ব্যক্তি এই গাঁজা সরবরাহের দায়িত্ব দিয়েছিল নিধিকে। কাকতালীয় হলেও অঞ্জলি মামলায় অন্যতম অভিযুক্তের নাম দীপক খান্না।আর এখানেই অনেকেরই প্রশ্ন, এই দু’জন দীপক একই ব্যক্তি কী না তা নিয়ে। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দীপক পুলিশকে জানায় ঘটনার রাতে সেই গাড়ি চালাচ্ছিল।এরপর দিল্লি পুলিশ তদন্তে নামতেই সামনে আসে আসল ঘটনা। পুলিশ জানতে পারে ঘটনার রাতে গাড়িতে ছিলেনই না দীপক। তাঁর তুতো ভাই অমিত গাড়ি চালাচ্ছিল।লাইসেন্স ছাড়াই স্টিয়ারিংয়ে বসেছিল সে!

পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে এও ভাবাচ্ছে ঠাণ্ডা মাথায় দুর্ঘটনার পর অঞ্জলিকে ১২ কিলোমিটার রাস্তা গাড়ির চাকায় টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকেও। কারণ, অভিযুক্তরা তাঁধের স্বীকারোক্তিতে জানান, নেশার ঘোরে সে রাতে দিল্লির কানঝাওয়ালা রোড দিয়ে গাড়ির চাকায় তরুণীকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায়নি ধৃতরা। সবটাই ছিল পরিকল্পিত।তাদের বক্তব্য, দুর্ঘটনার পরেই তাঁরা বুঝতে পারে অঞ্জলি গাড়ির সঙ্গে আটকে গিয়েছেন। আর খুনের মামলা থেকে বাঁচতে তরুণীকে উদ্ধারের কোনও চেষ্টাই করেননি বরং দীর্ঘ সময় ধরে কানঝাওয়ালার রাস্তা নিয়ে একের পর এক ইউটার্ন নিয়ে গাড়ি ছুটিয়েছে। এরপর অঞ্জলির দেহ গাড়ি থেকে রাস্তা যাওয়ার পর এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবকরা।দিল্লিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ধৃতদের একজনকে জামিন দেয় রোহিনী আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + 16 =