হাওড়া: প্রয়াত হলেন শিবপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ী। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জটু লাহিড়ী বুধবার গভীর রাতে হাওড়ার অম্বিকা কুন্ডু লেনে নিজের বাড়িতে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।দীর্ঘদিন ধরে বার্ধ্যকজনিত অসুখে ভুগছিলেন।কিছুদিন আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
বুধবার গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।কংগ্রেস থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল তাঁর। পরে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে আসেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১১ ও ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৫ বার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৩৮ সালে হাওড়াতে জন্ম হয় জটু লাহিড়ীর।ছাত্রবস্থায় কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও ১৯৯৮ সালের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। হাওড়া পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের পুর প্রতিনিধি ছিলেন । এছাড়াও ১৯৯১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একটানা পাঁচ বারের বিধায়ক ছিলেন।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এরপরে ২০২১ সালে বয়সের কারণ দেখিয়ে তাঁকে শাসক দল টিকিট না দিলে তিনি ক্ষোভে বিজেপিতে যোগ দেন। যদিও এরপর থেকে তাঁকে সেভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি।
বয়সজনিত কারণে একমাস ধরেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর ছেলে অভিজিৎ লাহিড়ী জানান, বুধবার রাতে বাবার জীবনাবসান হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে দেখা করতে আসেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র ও বিজেপি নেতা রথীন চক্রবর্তী। তিনি জানান, জটু লাহিড়ীর মৃত্যুতে হাওড়ার রাজনীতিতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। জটু লাহিড়ীর সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তিনি অত্যন্ত নিরঅহংকারী ব্যক্তি ছিলেন। যার যখন প্রয়োজন তিনি ছুটে যেতেন।
বর্ষীয়ান এই প্রাক্তন রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুকালে ছেলে ও টকের পরিবারকে রেখে গেলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জটু লাহিড়ী।