দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথমে ম্যাচে স্পিন দাপটে জিতেছিল ভারত। বেরহায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভারতের জয় যেন সময়ের অপেক্ষা ছিল। কিন্তু ত্রিস্তান স্টাবস ও জেরাল্ড কোৎজে জুটির সৌজন্যে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। চার ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ অবস্থায়। ডারবানে প্রথম ম্যাচে অনবদ্য বোলিং করেছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। বেরহায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন। আর এতেই এমন রেকর্ড তৈরি হল, যা আর কোনও ভারতীয় বোলারের নেই।
বেরহায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১২৪ রান তুলেছিল ভারত। স্লগ ওভারে সমস্যায় পড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ম্যাচেও এই সমস্যা হয়েছিল। যদিও ওপেনার সঞ্জুর সেঞ্চুরিতে স্লগ ওভারের ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ায় স্লগ ওভারের ফাঁক পরিষ্কার ধরা পড়ে। হার্দিক পান্ডিয়া ৩০-এর উপর রান করলেও স্ট্রাইকরেট খুবই হতাশাজনক। এই রান নিয়েও জেতার স্বপ্ন দেখেছিল ভারত। সৌজন্যে স্পিনাররা।
শুরুতেই উইকেট নেন বাঁ হাতি পেসার অর্শদীপ সিং। এরপর বরুণ চক্রবর্তীর কামাল। ১৭ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রথম ফাইফার। কেরিয়ার সেরা বোলিং। ম্যাচ ভারতের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। মাত্র ৬৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বরুণ ও রবি বিষ্ণোইয়ের ওভার শেষ হলেও অক্ষর ছিলেন। যদিও তাঁকে মাত্র ১ ওভারই বোলিং করান ক্যাপ্টেন স্কাই। পেসারদের বিরুদ্ধে সহজেই রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। হতাশার রেকর্ড বরুণ চক্রবর্তীর। এর আগে কখনও ভারতের কোনও বোলার টি-টোয়েন্টিতে ফাইফার নিলেও টিম হারেনি।
হারা ম্যাচে হতাশার পরিসংখ্যান এতদিন ছিল ভুবনেশ্বর কুমার ও রবি বিষ্ণোইয়ের। ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ভুবি। এ বছরের শুরুতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৩ রানে চার উইকেট নিয়েছিলেন রবি বিষ্ণোই। দুটো ম্যাচেই হেরেছিল ভারত। কিন্তু ফাইফারে কখনও না! এই প্রথম অবাঞ্ছিত রেকর্ড।