মালদার পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে ঠেকানো গেল নানা অসামজিক কাজকর্ম

মালদায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে মদ বিক্রির চক্র, লোটো, সাট্টা,  জুয়া এবং বেশ কিছু জায়গায় দেহ ব্যবসার অভিযোগ উঠে আসছিল। কিন্তু যা এতদিন হয়নি তা দায়িত্ব নেওয়ার পর করে দেখালেন পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে  মালদার সমস্ত এলাকায় বেআইনি এইসব কারবারিদের ডেরায় তালা ঝুলছে। পুলিশ সুপারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা শহরের বাসিন্দারা। সম্প্রতি, ইদ উৎসবের মধ্যে মালদা শহরের মহেশমাটি এলাকায় জুয়ার ঠেকে বচসার জেরে গুলিবিদ্ধ হয় এক যুবক। আর এই ঘটনার পরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা জেলা জুড়ে। তারপরে জেলার নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিয়ে আসেন প্রদীপ কুমার যাদব। আর তাঁর নির্দেশেই শুরু হয় বেআইনি মদের আখড়া, লোটো, জুয়ার ঠেকে অভিযান। পাশাপাশি মালদার বেশ কিছু হোটেলে বেআইনিভাবে দেহ ব্যবসার অভিযোগে উঠছিল। সেইসব জায়গাতেও এখন তালা ঝুলছে।  বিশেষ করে পুরাতন মালদা থানার নারায়ণপুর এলাকার একটি হোটেলে দীর্ঘদিন ধরেই জুয়া এবং দেহ ব্যবসার অভিযোগ উঠেছিল। সেই হোটেল সিল করে দিয়েছে জেলা পুলিশ। মালদা শহরের রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বেআইনিভাবে ধাবা গজিয়ে উঠেছিল। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে এবং মদের আসর বসেছিল বলে অভিযোগ। বহু চেষ্টা করে এলাকার বাসিন্দারা সেগুলো বন্ধ করতে পারেননি। কিন্তু নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রদীপ কুমার যাদবের নির্দেশে এখন সেখানেও তালা ঝুলছে। জেলা পুলিশ সুপারের এই কাজে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে মালদার নাগরিক মঞ্চ সদস্যরা খুশি প্রকাশ করেছেন। বলাবাহুল্য,  মালদা শহরের অতুল মার্কেট, কেজে  স্যানাল রোড-সহ একাধিক এলাকায় বেআইনি লোটো, সাট্টার রমরমা কারবার চলছিল। এছাড়াও শহরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন রথবাড়ি-সহ  হ্যান্টা কালীবাড়ি মোড়, রবীন্দ্র ভবন, গাবগাছি,  আম বাজার সহ একাধিক এলাকায় বেআইনি মদের ঠেকের রমরমা কারবার চলার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও মালদা শহরের কয়েকটি হোটেলে দেহ ব্যবসা রমরমা কারবার চলার অভিযোগ বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসছিল। কিন্তু পুলিশের লাগাতার অভিযানে এখন সেই বেআইনি কারবারিরা গা ঢাকা দিয়েছে। বন্ধ সমস্ত অপরাধমূলক কাজকর্ম।

মালদা জেলা নাগরিক মঞ্চ সমিতির সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় দাস বলেন,  বেআইনি এইসব কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আমরা জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু সেগুলি বন্ধ হচ্ছিল না।  তৃণমূলের জেলা সভাপতি আধুর রহিম বক্সী জানিয়েছেন, পুলিশের এই উদ্যোগকে আমরা সবসময় ধন্যবাদ জানাই। জেলা পুলিশের এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে দল সব সময় সমর্থন জানাবে। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, কোনওরকম বেআইনি কাজকর্ম বরদাস্ত করা যাবে না।  নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − ten =