কলকাতা:বাঙালির ভাইফোঁটা, কারও আবার ভাইদুজ। কালীপুজো শেষে ভাইফোঁটার অপেক্ষায় থাকে আম জনতা। এই দিনটায় ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে বোনেরা। আর ভাইয়েরা অঙ্গীকার করে বোনের সম্মান রক্ষার, তাদের আদর-যত্নে ঘিরে দেওয়ার।
উত্সব মানেই যেমন মিষ্টিমুখ, তেমনই জমিয়ে ভূরি ভোজ। বিশেষত বাঙালির পাতে ইলিশ, খাসির মাংস, গলদা চিংড়ি ছাড়া ভাইফোঁটার উত্সব জমে না।কিন্তু পাতে এখন কী দেওয়া যায়, তা নিয়েই ঘুম উড়েছে আম জনতার। কারণ, সব্জি থেকে মাছ-মাংস বাজারদর আগুন।
বুধবার বাজারে জ্যোতি আলু বিকোচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। চন্দ্রমুখী ছুঁয়েছে ৪০-এর গণ্ডি। পেঁয়াজের দামও আকাশছোঁয়া। এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে খরচা করতে হবে কমবেশি ৪০ টাকা। তবে এক সপ্তাহ আগেও তা বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কিলো প্রতি দরে। শুধু তাই নয়, পটল, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। তবে একেক বাজারে দাম একেক রকম।শুধু সবজি বাজার নয়, একই অবস্থা মাছ-মাংসের বাজারেরও। কলকাতার বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার কাছাকাছি। দেড় কেজি ওজনের দাম ঘোরাফেরা করছে ১৫০০-১৮০০ এর মধ্যে।
ভাইফোঁটা আর তাতে পাবদা, ভেটকি থাকবে না তা হয় নাকি? বাজারে পাবদা বিকোচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। ভেটকির দাম ৫০০-৫৫০ টাকা। পারশে মাছ এক কেজি প্রায় ৫০০ টাকা, মাঝারি মাপের বাগদার দাম ৮০০ টাকা। তবে মুরগির মাংসের দাম মধ্যবিত্তের নাগালেই। এক কেজি মুরগির দাম কলকাতার বাজারে ঘোরা ফেরা করছে ১৯০ থেকে ২০০ এর মধ্যে। খাসির মাংসের দাম ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি কেজি। এক ধাক্কায় অনেকখানি দাম বেড়েছে ফলেরও। দাম যতই চড়া হোক, বছরের এই একটা দিনে ভাইয়ের পাতে পছন্দের খাবার তুলে দিতে সকাল থেকেই ভিড় বাজারে।