অস্বাভাবিক মৃত্যু একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের

অস্বাভাবিক মৃত্যু একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের। এর মধ্যে বিছানায় পড়ে তিনজনের দেহ। বাকি দুজনের দেহের সন্ধান মেলে ঝুলন্ত অবস্থায়। এমনই এক ঘটনা ঘটে গেছে পঞ্জাবের জলন্ধরে। পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, একই পরিবারে সকলেই আত্মহত্যা করেছে। এই পাঁচজনের মধ্যে রয়েছে একজন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিন বছরের এক শিশুও। মৃত পাঁচজন হলেন মনমোহন সিং (৫৫), তাঁর স্ত্রী সরবজিৎ কৌর, তাদের দুই মেয়ে জ্যোতি (৩২) এবং গোপী (৩১) এবং জ্যোতির তিন বছরের শিশুকন্যা (৩)৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার করে।

কিন্তু কেন নিজেকে শেষ করে দিল গোটা পরিবার তার তদন্তে নেমে পুলিশ কথা বলে মৃত মনমোহন সিংয়ের জামাই সরবজিৎ সিংয়ের সঙ্গে।  সরবজিৎ পুলিশকে জানান, যে তিনি রবিবার রাত আটটা নাগাদ  বেশ কিছুক্ষণ ধরে ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে কেউ ফোন ধরেননি। সরবজিৎ সিং যখন তাদের বাড়িতে যান, তখন তিনি দেখতে পান মনমোহন সিং এবং তাঁর স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়, জ্যোতি, গোপী এবং আমনের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে।

এরপর রাত ৮.২০ নাগাদ ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই থানার হেড মনজিৎ সিং এবং আদমপুরের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি) বিজয় কুনওয়ার সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তদন্তে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। মনমোহন সিংয়ের লেখা সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, বিতর্ক ও ঋণে বিরক্ত হয়ে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এদিকে পুলিশ আধিকারিকেরা এও জানান, নিহতদের সবার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটির গালেও আঘাতের চিহ্ণ মিলেছে। তা দেখে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে জোর করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এরপর পুলিশ মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য জলন্ধর সিভিল হাসপাতালে পাঠায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 13 =