শনিবারও নতুন করে মণিপুরে অশান্তি শুরু হয়েছে। রাস্তা আটকে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন মণিপুরের মহিলারা। বিক্ষোভ সামাল দিতে পথে নেমেছে সেনাবাহিনী।মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের ঘড়ি এলাকায় যান চলাচলের রাস্তা আটকে এদিন সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একদল মহিলা। তাঁদের সঙ্গে কয়েক জন পুরুষ থাকলেও বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন মেয়েরাই। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়েন তাঁরা। রাস্তা পুরোপুরি আটকে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এমনকী, বিক্ষোভকারীরা রাস্তার মাঝে টায়ার জ্বালিয়ে দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর পাশাপাশি, সেনা জওয়ানদেরও সেখানে পাঠানো হয়। তাঁরা গিয়ে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর বিক্ষোভকারীদের আটকাতে ইম্ফলের জায়গায় জায়গায় প্রচারমূলক মিছিলও করা হয়।
মূলত, ভিডিওকাণ্ডের প্রতিবাদেই পথে নেমেছিলেন ওই মহিলারা। তাঁদের হাতে আরএসএস-বিরোধী প্ল্যাকার্ডও দেখা গিয়েছে। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। বিতর্কের মাঝে জোরালো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের দাবি। এমনকী, মণিপুরের হিংসা নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেখানে গত দু’মাস ধরে নীরব ছিলেন, তিনিও মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন এই ভিডিও দেখার পর। মণিপুরের পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্টও। এই পরিস্থিতিতেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে শনিবার মহিলাদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আবার উত্তেজনা ছড়াল।
অন্যদিকে, মণিপুরের মহিলাদের বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে কিছুটা হলেও চাপে বিজেপি। একযোগে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র নেতারা আক্রমণ শানাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরকে। তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। প্রবল চাপের মুখে এবার পালটা আক্রমণের পথে হাঁটছে বিজেপি। বাংলা, বিহার, রাজস্থানের নারী নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে বিরোধী নেতাদের একযোগে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর । তবে তাঁর নিশানায় মূলত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।