কোভিড বাড়তেই রাজ্যগুলোকে সতর্ক থাকার বার্তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

গত কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলেছে দেশের করোনা সংক্রমণ। নতুন করে ভয় ধরাতে শুরু করেছে মারণ ভাইরাস। আর সেই কারণেই সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে ভার্চুয়ালি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। প্রত্যেককে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত ৬ হাজারেরও বেশি। ২০৩ দিন পর এই প্রথম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এত বেশি। মহারাষ্ট্র কিংবা কেরলের মতো পরিস্থিতি উদ্বেগজনক না হলেও বাংলাতেও আগের তুলনায় বাড়ছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় আক্রান্ত ৪৪ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই সংক্রমিত ১৪ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্ধমান। সে জেলায় আবার সংক্রমিতদের মধ্যে ছ’জন হাসপাতালে ভর্তি। এছাড়াও সংক্রমণের নিরিখে চিন্তায় রাখছে দুই ২৪ পরগনা এবং হুগলি। আর এরপরই শুক্রবার ভার্চুয়ালি সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মনসুখ মাণ্ডব্য।

দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় তৎপরতা বাড়াল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরও। রাজ্যে আক্রান্ত সংখ্যা বাড়তে থাকলে, কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে, হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার পরিকাঠামো কী অবস্থায় রয়েছে, সব কিছুই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। দেশে করোনার দ্রুত সংক্রমণ নিয়ে শুক্রবার সবকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।

এই বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি হটস্পট চিহ্নিত করা এবং পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে তিনি আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দেশজুড়ে মক ড্রিল করার কথা জানান। সেইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী।

কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে।  গত সাত দিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত পয়লা এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৯৯৪ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬,০৫০ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৫,৩৩৫। অর্থাৎ একদিনে আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। কোভিড সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 10 =