দেশ জুড়ে ৭ মাল্টি ট্র্যাকিং প্রকল্পের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে

ভারতের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা  (CCEA) কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সর্ববৃহৎ সাতটি মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভারতীয় রেলের মোট ২৩৩৯ কিমি ট্র্যাকের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য  প্রায় ৩২,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে বিদ্যমান লাইনের ক্ষমতা বাড়ানো, ট্রেন চলাচল ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ করে তোলা, যানজট কমানো এবং যাতায়াত ও পরিবহণ সহজতর করার উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের আশা, এই প্রকল্পগুলি নির্মাণের সময় প্রায় ৭.০৬ কোটি জন-দিনের জন্য সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি রেল লাইনের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির কাজের দরুণ অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাফিক ২০০ (MTPA) মাত্রার হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আজ কেন্দ্রীয়

সরকারের কাছ থেকে একশো শতাংশ তহবিল-সহ প্রায় ৩২,৫০০ কোটি টাকা রেলপথ মন্ত্রকের সাতটি প্রকল্পের জন্য অনুমোদন করেছে। আশা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে মাল্টি-ট্র্যাকিংয়ের প্রস্তাবগুলি ক্রিয়াকলাপকে সহজ করা সম্ভব হবে, যানজট কমিয়ে দেবে এবং ভারতীয় রেলের ব্যস্ততম অংশগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রদান করবে।

দেশের ৭টি রাজ্যের ৩৫টি জেলা  উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গকে  প্রকল্পর আওতায় আনা হবে। এই প্রকল্প রূপায়ণ হওয়ার পর ভারতীয় রেলওয়ের বিদ্যমান নেটওয়ার্ককে ২৩৩৯ কিলোমিটার বাড়িয়ে দেবে এবং রাজ্যের জনগণকে ৭.০৬ কোটি মানব-দিবসের কর্মসংস্থান দেবে।

 

প্রকল্পের নাম

গোরক্ষপুর – ক্যান্টনমেন্ট – বাল্মীকি নগর – বর্তমান রেল লাইনকে দ্বিগুণ করা।

সোননগর – অন্ডাল মাল্টি ট্র্যাকিং প্রজেক্ট – মাল্টি ট্র্যাকিং।

নেরগুন্ডি – বরাং এবং খুড়দা রোড – ভিজিনগরম -৩য় লাইন তৈরি।

মুডখেদ – মেদিচাল এবং মহেবুবনগর – ধোনে বর্তমান লাইনকে দ্বিগুণ করে তোলা।

গুন্টুর – বিবিনগর বর্তমান লাইনকে দ্বিগুণ করে তোলা।

চোপান – চুনার বর্তমান লাইনকে দ্বিগুণ করে তোলা।

সমাখিয়ালি – গান্ধিধাম বর্তমান লাইনকে চতুৰ্গুণ করে তোলা।

এর মাধ্যমে খাদ্যশস্য, সার, কয়লা, সিমেন্ট, ফ্লাই-অ্যাশ, লোহা এবং ফিনিশড স্টিল, ক্লিংকার, অপরিশোধিত তেল, চুনাপাথর, ভোজ্যতেল ইত্যাদির মতো বিভিন্ন পণ্যের ঝুড়ি পরিবহণের জন্য এগুলি অপরিহার্য রুট হিসাবে আরও কার্যশীল হবে।  এই সকল লাইনের ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজের ফলে অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাফিক ২০০বার্ষিক মিলিয়ন টন হবে। এছাড়াও রেল পরিবেশবান্ধব এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবহণের মাধ্যম হওয়ায় জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং দেশের পণ্য পরিবহণের খরচ কমাতে সাহায্য করবে। প্রকল্পগুলি একটি নতুন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা এই অঞ্চলে বহুমুখী কর্মশক্তি তৈরি করে এই অঞ্চলের মানুষকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তুলবে এবং তাদের কর্মসংস্থান / আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে।

প্রকল্পগুলি মাল্টি-মডেল সংযোগের জন্য পিএম -গতি শক্তি জাতীয় মহাপরিকল্পনার ফলাফল যা সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে এবং মানুষ, পণ্য ও পরিষেবার চলাচলের জন্য নির্বিঘ্ন সংযোগ প্রদান করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 15 =