নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: মাওবাদী অর্ণব দাম হুগলি সংশোধনাগারে বন্দি কিন্তু শিক্ষা জগতে তিনি ২৫০ জনের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। এর পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ভর্তি নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। অবশেষে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, শিক্ষা, শিক্ষার জায়গায়। তার অপরাধ অপরাধের জায়গায়। তাই তারা তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে চিঠি করেন এবং জানিয়েছেন যাতে তাকে সুযোগ দেওয়া হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার।
সোমবার পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় মাওবাদী অর্ণব দামকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সিলিংয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এদিন কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে প্রশাসন তাকে কাউন্সিলিংয়ের জায়গায় নিয়ে এসে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান রক্ষা করেছে বলে জানান উপাচার্য গৌতম চন্দ্র। তিনি জানান সে মাওবাদী হলেও, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে সে পিএইচডি করতে চায়। তাই তারা তাকে সহযোগিতা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে এখনও অর্ণব দামের ভর্তি নিয়ে সংশোধনাগার থেকে কোনও চিঠি আসেনি, শুধুমাত্র মৌখিক আশ্বাসে সোমবার থেকে শুরু ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করানো হয়।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবার তার কাউন্সিলিং হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই মর্মে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় শনিবার। প্রত্যেক হেড লিস্টেড ক্যান্ডিডেটকে ইন্ডিভিজুয়্যাল মেল করা হয়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র জানান, এখনও পর্যন্ত মাও নেতা অর্ণব দামের বিষয়ে কোনও মেল বা চিঠি তাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। মৌখিক আশ্বাসে পিএইচডি বিষয়ে তার কোনও সমস্যা হবে না কারা কর্তৃপক্ষ সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে এমনকি তার সিকিউরিটির ব্যবস্থা করবে। এমনই তাদের কাছে ফোন আসে। তাই ভর্তি প্রক্রিয়া থামিয়ে না রেখে চালু করা হয়েছে।
উপাচার্য জানিয়েছেন, সাংসদ পরিচয় দিয়ে কুণাল ঘোষ তাঁকে ফোন করেন এবং তিনি জানান তিনি কারা দপ্তর এবং অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং খুব শীঘ্রই আজকালের মধ্যে ওই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে পৌঁছে যাবে তাই মৌখিক আশ্বাসে অর্ণব দামের ভর্তি জট কাটল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কারা মন্ত্রী বলেছেন যে, চিঠিপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব শীঘ্রই পৌঁছে যাবে। অবশেষে ইতিহাস বিভাগের প্রধান তানভির নাসরিন জানান, সমস্ত জটিলতা কেটে অবশেষে কাউন্সিলিং সফল হয়েছে।