সূর্যর দাপটে আরসিবিকে হারিয়ে মুম্বই উঠে এল তিন নম্বরে

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সবরকম বিষয়ই নজরে পড়ল। এ বারের আইপিএলে ওয়াংখেড়েতে এর আগেও ২০০ প্লাস স্কোর তাড়া করেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু ২০০ রান তাড়া করতে নেমে এত বড় জয়! চুংগাম মুখে বিধ্বংসী ইনিংস সূর্যকুমার যাদবের। আইপিএলের শুরুতে তাঁকে নিয়ে প্রবল চাপে ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টুর্নামেন্টের শুরুতেও। কিন্তু এ দিন অন্য় মেজাজে স্কাই। মাঠের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে শট খেলেননি। ৩৬০ ডিগ্রি শটে ওয়াংখেড়ে মাতালেন। যদিও অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে না পারার ক্ষীণ হতাশা। স্কাই আউট হতে ক্রিজে আসেন টিম ডেভিড। মাত্র ৮ রান বাকি। নেট রান রেট বাড়িয়ে নিতে যত দ্রুত সম্ভব জেতাই লক্ষ্য ছিল। টিম ডেভিড গোল্ডেন ডাক। স্কাই থাকলে আরও আগেই ম্যাচ শেষ হয়ে যেত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ওডিআই সিরিজে গোল্ডেন ডাক-এর হ্যাটট্রিক। আইপিএলের শুরুতেও রান পাচ্ছিলেন না। ক্রমশ চাপ বাড়ছিল স্কাইয়ের ফর্ম নিয়ে। আরসিবির বিরুদ্ধে আইপিএলের এই মরসুমে চতুর্থ অর্ধশতরান করলেন স্কাই। তাঁর চেয়েও বড় কথা স্ট্রাইকরেট। মাত্র ৩৫ বলে ৮৩! ৭টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারি। স্ট্রাইকরেট ২৩৭-এর বেশি! আর এক তরুণ ক্রিকেটার নেহাল ওয়াদেরাও বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লে-তে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আরসিবি। যদিও ফাফ ডুপ্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল জুটি অনবদ্য ব্যাটিং করেন। ৬২ বলে ১২০ রান যোগ করে এই জুটি। এই দুই ব্যাটার ফিরতেই রানের গতি কমে আরসিবির। একটা সময় মনে হয়েছিল অন্তত ২২০ অবধি পৌঁছবে। কিন্তু ১৯৯-৬ স্কোরেই আটকে যায় আরসিবি। হাই স্কোরিং ওয়াংখেড়েতে ২১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ছয় মেরে অর্ধশতরান এবং ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেন নেহাল ওয়াদেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 7 =