ওড়িশার কাছে আটকে গেল অপরাজিত মোহনবাগান

সেই ওড়িশা এফসি। ফল যদিও শেষ মুহূর্তে বদলে দিলেন আর্মান্দো সাদিকু। আগের দিন মোহনবাগান কোচ যতই বলুন, এটি তাঁদর কাছে বদলার ম্যাচ নয়। প্লেয়ারদের কাছেও কি তাই? হয়তো নয়। মরসুমের শুরু থেকে এএফসি কাপকেই পাখির চোখ করেছিল সবুজমেরুন শিবির। গ্রুপ পর্বে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। যদিও গত ম্যাচে ওড়িশা এফসির কাছে হারেই এএফসি কাপের দরজা বন্ধ হয়েছিল মোহনবাগানের। এ বার আইএসএলেও জয়ের রথ থামল একই প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধেই। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর ধাক্কা।

আইএসএলে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। এ বারও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। প্রথম পাঁচ ম্যাচেই জিতেছিল সবুজ মেরুন। কিন্তু টানা আধডজন জয় হল না। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ২-২ ব্য়বধানে শেষ করল মোহনবাগান। তাও শেষ মুহূর্তে হার আটকালেন সাদিকু। ম্যাচ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খায় সবুজ মেরুন শিবির। শেষ মুহূর্তের চোটে হুগো বোমাসকে পায়নি মোহনবাগান। তাঁর পরিবর্তে শুরু থেকে খেলানো হয় জেসন কামিংসকে। এমনিতেই চোট সমস্যায় জর্জরিত মোহনবাগান। তার ওপর হুগো বোমাসের মতো ধারাবাহিক একজনকে না পাওয়ায় মাঝ মাঠ ও আক্রমণ ভাগে ব্যাপক ফাঁক ধরা পড়ে।
ম্যাচের ৩০ মিনিট পেরোতেই পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা এফসি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সেই জাহুহু দ্বিতীয় গোল করেন। ০-২ পিছিয়ে বিরতিতে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের হয়ে ব্য়বধান কমান আর্মান্দো সাদিকু। তাতেও সমস্যা মিটছিল না। এ মরসুমের আইএসএলে অপরাজিত থাকার জন্য বিশেষ কিছু প্রয়োজন ছিল। ম্য়াচের ইনজুরি টাইমে দ্বিতীয় গোল করে দলের হার আটকান সাদিকুই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − nine =