চালকের আসনে উবেরের সিইও দারা! মাসের পর মাস চালিয়েছেন অ্যাপ ক্যাব

শোনা যায়, আগেরকার দিনে রাজারা নাকি অনেক সময় পরিচয় গোপন করে সাধারণ মানুষ সেজে রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা জানতে বের হতেন।
শোনা গেল, তেমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন নামী অ্যাপ ক্যাপ সংস্থার সিইও দারা খোসরোশাহী। উবের নিয়ে গ্রাহকদের যেমন অভিযোগ, তেমনই ক্ষোভ রয়েছে উবের চালকদের মধ্যেও। অসুবিধে কোথায়, কেন ক্ষোভ তা বোঝার জন্যই একটি ক্যাম্পেন শুরু করছিল অ্যাপ ক্যাব সংস্থাটি। আর তাতেই উবের চালক সেজে মাসের পর মাস যাত্রী পরিবহণের কাজ করেছেন স্বয়ং সংস্থার সিইও দারা খোসরোশাহী। একটি ইন্টারভিউতে সম্প্রতি নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন দারা।
দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল, উবের নাকি চালকদের প্রতি বন্ধুসুলভ আচরণ করে না। তাঁদের অনেক সমস্যার ব্যাপারে নাকি উদাসীন অ্যাপ ক্যাব সংস্থাটি। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই ‘প্রজেক্ট বুমেরাং’ নামে নতুন ক্যাম্পেন শুরু করেছিল উবার। যার উদ্দেশ্য ছিল, সংস্থার অধীনে কাজ করা চালকদের উবেরের বিষয়ে অভিজ্ঞতা কেমন, তা যাচাই করা এবং তা আরও উন্নত করা। আর তখনই উবার চালকদের জুতোয় পা গলিয়ে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা বোঝার চেষ্টা করেন সিইও দারা। ২০১৭ সালে উবারের সিইও হিসেবে যোগদান করেন দারা।
নিজের পরিচয় গোপন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে কয়েক মাস ধরে সাধারণ চালক হিসেবে যাত্রীদের পরিষেবা দেন দারা। আর তাতেই তিনি উপলব্ধি করেন, চালকদের ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ হিসেবে নেওয়ার যে অভিযোগ ছিল, তা অনেকটাই সত্যি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে দারা জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয়, সামগ্রিকভাবে এই ইন্ডাস্ট্রি বহু ক্ষেত্রেই চালকদের ‘ফর গ্র্যান্টেড’ হিসেবে নিয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, কখনও দ্রুত পরিষেবা পাওয়ার জন্য যাত্রীরা ক্যাব বুক করার সময় যে টাকা টিপস হিসেবে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন, পরে দেননি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অ্যাপ ব্যবহার করার সময় প্রযুক্তিগত সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। রাইড ক্যানসেল করার জন্য জরিমানাও দিতে হয়েছে দারাকে। অনেক সময় যাত্রীদের দুর্ব্যবহারও সইতে হয়েছে মুখ বুজে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 4 =