ব্যারাকপুর : শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের পুঁথিগত, ব্যক্তিজীবনের পাঠ দিয়ে ভবিষ্যতের নাগরকি গড়েন। বহু পড়ুয়াদের কাছেই তাঁজের জীবনের আদর্শ হয়ে ওঠেন কোনও না কোনও শিক্ষক।
কিন্তু সেই শিক্ষক মহলের ঝগড়া সামলাতেই এবার হিমশিম সকলে। শিক্ষিকাদের নিজেদের মধ্যে তীব্র কাজিয়ার জেরে পঠন-পাঠন শিকেয় উঠেছে নৈহাটি পূর্ব চক্রের পূর্ণানন্দপল্লী আদর্শ এফ.পি স্কুলে (Purnanandapally Adarsh F.P. School)। শনিবারও স্কুল শুরুর আগেই দুই শিক্ষিকা নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনায় স্তম্ভিত পড়ুয়া-সহ অভিভাবকরা। অভিভাবিকা বিথিকা ঘরামী ও সোমা ভৌমিক বলেন, মাঝেমধ্যেই স্কুলের দুই শিক্ষিকা দীপ্তি কুর্মি ও প্রিয়াঙ্কা সরকার নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। এমনকি বাকবিতন্ডা চলাকালীন একে অপরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।
অভিযোগ, শনিবার স্কুলের ঘণ্টা বেজে গেলেও, ক্লাসে না গিয়ে ওই দুই শিক্ষিকা তুমুল ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। অভিভাবকদের ক্ষোভ, শিক্ষকরা পড়ুয়াদের সামলাবেন, উপযুক্ত শিক্ষা দেবেন সেটাই কাম্য। সেখানে স্কুলে শিক্ষিকারা এভাবে ঝগড়া করলে পড়ুয়ারা কী দেখবে আর কী শিখবে? অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষিকাদের ঝামেলার ফলে বাচ্চাদের পড়াশুনায় ক্ষতি হচ্ছে। এদিন দুই শিক্ষিকা স্কুল শুরুর আগে থেকেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। অসুস্থতার কারন দেখিয়ে দুই শিক্ষিকা দীপ্তি কুর্মি ও প্রিয়াঙ্কা সরকার স্কুল থেকে চলে যান। তাদের অনুসরণ করেন আর এক শিক্ষিকা মহুয়া রায় পালিত।
অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য এই রকম শিক্ষিকাদের অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করা হোক। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষককে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নিতে বলা হলেও, তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেননি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুস্বপন ঘোষ বলেন, ‘একবছর ধরে দুই শিক্ষিকা দীপ্তি কুর্মি ও প্রিয়াঙ্কা সরকার নিজেদের মধ্যে বারবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন। এদিন অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রিয়াঙ্কা সরকার, দীপ্তি কুর্মি ও মহুয়া রায় পালিত স্কুল থেকে চলে গিয়েছেন।’ তিনিও মেনে নিয়েছেন, দুই শিক্ষিকার কাজিয়ার ফলে স্কুল চালাতে সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চাদের পঠন-পাঠনে ব্যাঘাত ঘটছে। সুস্বপনবাবু জানান, দুই শিক্ষিকার মধ্যে ঝামেলার বিষয়টি তিনি সার্কেল ইন্সপেক্টর ও বারসাতে ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলে জানিয়েছেন।