কলকাতা: ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দৌলতে থ্রিলার বেসড একাধিক ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে, পুলিশ , গোয়েন্দা, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনেকসময় তদন্তের কাজেই হ্যাকার-দের প্রয়োজন হয়।ডিজিটাল বিশ্বে অপরাধ আটকাতে ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’-এর গুরুত্ব বাড়ছে।
‘এথিক্যাল হ্যাকিং’-এ তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা যাচাইয়ে শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বেসরকারি উদ্যোগে কলকাতা পুলিশ আয়োজিত এথিক্যাল হ্যাকিং প্রতিযোগিতা ‘হ্যাকাথন’-এর আয়োজন হয়েছিল। সেখানে এগারোটি বাধা পেরিয়ে ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’-এর চূড়ায় পৌঁছলেন দুই বাঙালি কলেজছাত্র মালদার সৈয়দ মোদাস্সির ও উত্তর শহরতলির সোদপুরের দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই বিজয়ীর হাতে দেড় লাখ টাকার পুরস্কার তুলে দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ছিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞ হৃত্বিক লাল। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, তরুণ প্রতিভাদের খুঁজে বের করার জন্যই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। তাঁরা প্রয়োজনে পুলিশের তদন্তেও সাহায্য করতে পারবেন।
এই প্রতিযোগিতায় ৪০৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ছিলেন ৩০ জন মহিলা ও ৬ জন স্কুলে ছাত্র। ছিলেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধও। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ এদিন সন্ধান পেয়েছ ১০টি টিমের ১৯ জন ‘হ্যাকিং’ প্রতিভাকে। বিজয়ী মোদাস্সির ও দেবজিৎ দু’জনই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। কর্মসূত্রেই পরিচয় দু’জনের। তাঁদের দাবি, সকাল সাড়ে ন’টা থেকে শুরুর পর ‘হ্যাকিং গেম’-এর একের পর এক ধাপ এগিয়ে যান তাঁরা। শেষ আধঘণ্টা ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। সময়মতো শেষ করে ১১০ স্কোর করেন তাঁরা। একই স্কোর করেছেন দ্বিতীয় বিজয়ী অবিনাশ। শুধু ধাপটি শেষ করতে তাঁর একটু বেশি সময় লেগেছে। ১০০ স্কোর করে তৃতীয় হয়েছেন সৌম্য মুখোপাধ্যায় ও সৌরভ কার্জি।
কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হরি কুসুমাকার জানান, এই প্রথম কলকাতায় এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ছেলে-মেযেরা কেরল, দিল্লি, মুম্বই, ওড়িশা-সহ বিভিন্ন রাজ্য ও শহর থেকে এসেছিলেন। ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, ‘সাইবার অপরাধ দমনে ও সাইবার সংক্রান্ত ভুল খুঁজতে এথিক্যাল হ্যাকারদেরই প্রয়োজন।’ কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হরি কুসুমাকার জানান, এই প্রথম কলকাতায় এই ধরনের প্রতিযোগিতা হল।