দিন আনতে পান্তা ফুরানো এক পানের দোকানদার ৩০ টাকার লটারি কেটে রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি। একদিকে যখন ডিয়ার লটারি নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে। তারই মধ্যে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের ওই পান বিক্রেতার এক কোটি টাকা পুরস্কার পাওয়াতেই রীতিমতো এলাকা জুড়ে শোরগোল পরে গিয়েছে। চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু সাহা এবং কৃষ্ণ দাস তারা দু’জন মিলেই ১৫ টাকা করে ৩০ টাকা দিয়েই একটি লটারি টিকিট কিনেছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় ওই ডিয়ার লটারি শ্যালক এবং ভগ্নিপতির ভাগ্য বদলে দিয়েছে। এই দু’জনেই ছোটখাটো পানের দোকান করে কোনও রকমে সংসার চালান। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত পিপলা গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু সাহার একটি ছোট পানের দোকান আছে। সেই দোকান থেকেই অতি কষ্টে দিন যাপন করতেন তিনি। আর্থিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সংগ্রাম করে দৈনন্দিন জীবন চালাতে হত। তবে জীবনের লড়াইয়ে কখনো হার মানেনি পিন্টু। সংসার চালাতে সব সময় কঠোর পরিশ্রম করেছে। আর তার সেই দৈনন্দিন সংগ্রামে তার পাশে থাকত শ্যালক কৃষ্ণ দাস। কথাতেই আছে ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’। তাই রাতারাতি এই ভাবে ভাগ্য বদলে গেল শ্যালক এবং ভগ্নিপতির। বুধবার সন্ধ্যায় চা খেতে খেতে একটি লটারির দোকান থেকে দু’জনে মিলে তারা টিকিট কাটে। ডিয়ার লটারির ওই টিকিটের খেলা ছিল সন্ধ্যা ৬ টার সময়। কিছুক্ষণ পরে খেলার ফলাফল দেখতেই আনন্দে আত্মহারা দু’জনেই। সবটাই যেন ছিল তাদের কাছে স্বপ্ন। পুরস্কারের এই অর্থ মূল্য সমান ভাগে ভাগ করে নেবে শ্যালক এবং ভগ্নিপতি। আগেও যে ভাবে তারা এক সঙ্গে থাকত বর্তমানেও থাকবে। খুশি পরিবারের সকল সদস্যরাই। স্বাভাবিক ভাবে সাধারণ একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া কোনও অসাধ্য সাধনের থেকে কম নয়। ফলাফল আসার সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষার কথা ভেবে তারা দৌড়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুরস্কার পাওয়া পর্যন্ত তাদের সুরক্ষার সব দায়িত্ব হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের। এদিকে টিকিট বিক্রেতা রমেন গুপ্তা জানিয়েছেন, এর আগে প্রথম পুরস্কার অবিকৃত থেকে গিয়েছিল। সেই আফসোস আজ মিটে গেল। কোটিপতি পান বিক্রেতা পিন্টু সাহা বলেন, পানের দোকান করতাম। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। আমার শ্যালক সব সময় আমার পাশে থেকেছে। ভবিষ্যতেও আমরা এই ভাবে থাকব। সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে চলব। লটারির টিকিট বিক্রেতা রমেন গুপ্তা বলেন, লটারির টিকিট খেলার মধ্যে কোনও দুর্নীতি নেই। এটা ভাগ্যের ব্যাপার যাদের পাওয়ার ঠিক পাবে।