বাগুইয়াটির দুই কিশোরের নিখোঁজ ও খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দুই কিশোরীর নিখোঁজের ঘটনা সামনে এল। রহস্যজনকভাবে এক সদ্য যুবতী ও এক নাবালিকা ছাত্রী ৫ দিন ধরে নিখোঁজ। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ঘটনাটি ঘটেছে, বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার টাকি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ দুই ছাত্রী দশম শ্রেণির ছাত্রী বছর ১৮ এর দীপিকা দাস, ও বছর ১৪ এর প্রতীক্ষা মণ্ডল অষ্টম শ্রেণির। এই দুই ছাত্রী পড়াশোনার সুবাদে এরা দু’জন ছোটবেলা থেকেই বান্ধবী। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টা নাগাদ হাসনাবাদে ব্যাংকের বই আপডেট করার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় দুই বান্ধবী প্রতীক্ষা ও দীপিকা। তারপর থেকেই তাদের আর খোঁজ মিলছে না। বাড়ির লোক খোঁজ খবর করে না পাওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধেবেলা হাসনাবাদ থানায় দুই ছাত্রীর পরিবার নিখোঁজের ডায়েরি করেছেন। দীপিকার মা নীলিমা মণ্ডল, প্রতীক্ষার বাবা পরিতোষ মণ্ডল বলেন, আমাদের সন্দেহ হচ্ছে পাড়ার কেউ এর পিছনে জড়িত, একজন যুবককে সন্দেহ হয়েছিল। তাকে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে কোনও তথ্য না পাওয়াতে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ প্রশাসন ও সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের দুই মেয়েকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। বর্তমানে আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। চারিদিকে যে সব ঘটনা ঘটছে তাতে রাতের ঘুম কেড়েছে। আমরা আত্মীয়-স্বজন সবার বাড়িতে খোঁজ নিয়েছি। কারোর বাড়িতে যায়নি। আমাদের ঘরের সন্তানরা ফিরে আসুক প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন। নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনা যত সময় যাচ্ছে রহস্য ততই ঘনীভূত হচ্ছে। এর পিছনে প্রেমঘটিত কোনো কারণ আছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি বিভিন্ন থানা এলাকায় তাদের ছবি পোস্ট করে সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলেই প্রশাসন সূত্রে দাবি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার পরেও এখনো কোনো খোঁজ করতে পারল না কেন পুলিশ। তাহলে কি তদন্ত সেভাবে এগোচ্ছে না? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসীরা।