কাশ্মীরে কাজ করতে গিয়ে উগ্রপন্থীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মালদার দুই শ্রমিক। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিমানে করে কাশ্মীর থেকে কলকাতায় এবং পরে ট্রেনে করে মালদায় ওই দুই শ্রমিককে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হল।বুধবার সকালে মালদা টাউন স্টেশনে গৌড় এক্সপ্রেস ট্রেনে করে গুলিবিদ্ধ অসুস্থ দুই শ্রমিক ফিরতেই, তাদের সেখান থেকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্স করে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দুজন শ্রমিককে দেখতে মেডিক্যাল কলেজে যান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী এবং ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী-সহ অন্যান্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনিকুল ইসলাম (৪৫) এবং জালালপুরের বাসিন্দা নাজমুল হক (৩৫)। দুইজনে গত কয়েক মাস আগে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন আপেল বাগানের শ্রমিকের কাজ করতে। গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় জম্বু কাশ্মীরের বডগ্রাম নামক একটি এলাকায় উগ্রপন্থীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। সেখানে ছিলেন মালদার ওই দুই শ্রমিক। উগ্রপন্থীদের হামলা গুলিবিদ্ধ হন তারা। এরপর কাশ্মীরে তাদের চিকিৎসা চলে। পরবর্তীতে এই খবর জানাজানি হতেই গুলিবিদ্ধ দুই শ্রমিককে সাময়িক চিকিৎসার পর তাদের মালদার বাড়িতে ফেরানোর উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে অবশেষে অসুস্থ দুই শ্রমিককে মালদায় ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিন ওই দুই শ্রমিকের সঙ্গে দেখা করার পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী জানিয়েছেন, দুই জন শ্রমিকের মধ্যে একজনের অবস্থা এখনও সংকটজনক রয়েছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ওই দুইজনকে চিকিৎসাধীন। গত ২১ এপ্রিল ওরা কাশ্মীরের একটি আপেল বাগানে কাজ করার সময় উগ্রপন্থীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন। তবে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যেভাবে উদ্যোগ নিয়ে মালদার দুই শ্রমিককে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে, তা নজিরবিহীন। জম্বু- কাশ্মীর থেকে ওদের প্রথমে বিমানে করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এরপর গৌড় এক্সপ্রেস ট্রেনে করে তাদের মালদার বাড়িতে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়।
ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে মালদার আহত শ্রমিক কাশ্মীর থেকে সুষ্ঠুভাবে ফিরতে পেরেছেন। মেডিক্যাল কলেজের সব রকমের চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে তাদের আপাতত চিকিৎসা চলছে। এদিকে আহত দুই শ্রমিকের পরিবার রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।