পাক গোয়েন্দা বাহিনীর দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিককে পঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়ালে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। খানেওয়ালের পুলিশ সুপার মুর্তজা ভট্টি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে রাস্তার ধারে একটি রেস্তরাঁর সামনে গাড়ি পার্ক করছিলেন ওই দুই গোয়েন্দা আধিকারিক। সে সময় মোটরবাইকে এসে দুই ঘাতক তাঁদের উপর গুলি চালায়।
ঘটনাচক্রে নিহত দুই গোয়েন্দা আধিকারিকই পাক সন্ত্রাসদমন সংস্থা ‘কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট’ (সিটিডি)-এ কর্মরত ছিলেন। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাক সেনা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি যে অভিযান শুরু করেছে, সিটিডি তার মূল সহযোগী।
গত অগস্টে টিটিপি গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরেই টিটিপির বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা এবং সিটিডি-র যৌথ বাহিনী। আর তা করতে গিয়ে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ লাগোয়া আফগান ভূমিতেও অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সম্প্রতি পাক ও আফগান বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লার উপস্থিতিতে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে টিটিপি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বড় মাপের সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের পর রানা ইঙ্গিত দেন প্রয়োজনে সীমান্ত লঙ্ঘন করে আফগানিস্তানের মাটিতে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হবে।
রানার ওই মন্তব্যের পরেই আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের উপ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ ইয়াসির ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দেন। বাংলাদেশ যুদ্ধে ৯৩ হাজার পাক সেনা ও আধাসেনার আত্মসমর্পণের ছবি দিয়ে টুইটারে তিনি লেখেন। ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে এমনই পরিণতি হবে পাকিস্তানের’।