সম্পর্কের টানাপোড়েন। তার জেরেই আত্মহত্যা!
বেহালার পর্ণশ্রীতে অনীক সাহা নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ফ্ল্যাট থেকে দেহ উদ্ধার হতেই সামনে এসেছে লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে অশান্তির কথা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবক অনীক সাহা বিবাহিত ছিলেন। আর এক বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বছর তিনেক আগে। সেই মহিলার ডিভোর্স হয়ে গেলেও অনীকের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। অথচ হাওড়া লিলুয়ার বাসিন্দা বছর ৩১-এর অনীক সাহা ও বেহালা পর্ণশ্রীর বাসিন্দা রিম্পা চক্রবর্তী একসঙ্গে লিভ ইন পার্টনার হিসেবেই থাকছিলেন। রিম্পার বছর সাতেকের ছেলেও আছে।
রিম্পা, অনীককে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু অনীক স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি। এমনকী স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে যোগাযোগও রাখতেন বলেও খবর। এ নিয়ে রিম্পার সঙ্গে অশান্তি চরমে ওঠে। গত দু’মাস আগে সেই ঝামেলার জেরে রিম্পা অনীকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান।
ঘটনায় অনীকের জেল হেপাজতও হয়। ১৪ থেকে ১৫ দিন জামিনে মুক্তির পর সেই রিম্পার সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার রাতে ফের তাঁদের অশান্তি হয় প্রবল। রিম্পা চারতলার ফ্যাট থেকে নীচে নেমে আসেন। সেই সময় ওপর থেকে অনীক চিৎকার করে বলেন আত্মহত্যা করবে। তা শুনেই পাড়ার একজন ১০০ ডায়ালে ফোন করেন।
রিম্পা উপরে গিয়ে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তখন রাত সাড়ে বারোটা। এরপর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে নাইলন দড়ি দিয়ে ঝুলছে অনীক। তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় পর্ণশ্রী থানা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করেছে। তদন্ত করছে পুলিশ।