দ্বিতীয়বার গাঁটছড়া বেঁধেছেন সঙ্গীতশিল্পী দুর্নিবার সাহা। এবার পাত্রী ঐন্দ্রিলা সেন। তিনি আবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সহকারী। দুর্নিবার ও ঐন্দ্রিলার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বুম্বা দা। তিনি দুজনকে আশীর্বাদ করেছেন। ছবিও তুলেছেন। সেই ছবি ভাইরালও হয়েছে। একদিকে যখন চর্চায় দুর্নিবারের দ্বিতীয় বিয়ে, তখন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন নেটিজেনরা।
প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহরের সঙ্গে প্রেম দুর্নিবারের গত বৃহস্পতিবার শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন মোহর ও দুর্নিবার। বিয়ে ভাঙার এক বছরের মধ্যেই কীভাবে মীনাক্ষিকে ভুলে মোহরকে বিয়ে করেছেন দুর্নিবার, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন অনেকেই। অনেকের মতে, বিয়ে ভেঙেছিল পরকীয়া প্রেমের জেরেই। মোহরের সঙ্গে তাঁর প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চর্চার শেষ নেই। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর প্রতি সমব্যথী বহু মানুষ।এই ট্রোল নিয়ে প্রথমে চুপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত মুখ খোলেন দুর্নিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচকদের একহাত নিয়ে গায়ক ফেসবুকে জবাব দেন, ‘যখন আমরা আলোর রোশনাইয়ে সাজাব, তখন কিছু লোকজন বোকার মতো কিছু নোংরা মন্তব্য করবেন।’
২০২১ সালে প্রেমিকা মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করে ছিলেন দুর্নিবার। বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সম্পর্কে ভাঙন। ২০২২ সালে প্রসেনজিতের সহকারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুর্নিবার। দুর্নিবার দাবি করেছিলেন, তিনি পরকীয়া করেননি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শহরের একটি রেস্তরাঁয় মোহরের সঙ্গে প্রথম দেখা। তারপর কাজের সূত্রে বন্ধুত্ব ও প্রেম। অন্য দিকে মীনাক্ষীর সঙ্গে দুর্নিবারের সম্পর্ক গড়ায় বিচ্ছেদের দিকে। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় মোহরের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানান দুর্নিবার। আর এবার একেবারে অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে সারলেন মোহর ও দুর্নিবার।