নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত কাঁকসায়। কাঁকসার ৭টি পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রাখল ঘাসফুল শিবির।
মঙ্গলবার কাঁকসার বিডিও অফিস সংলগ্ন একটি বেসরকারি কলেজে শুরু হয় গণনা। শুরু থেকেই এগিয়ে যায় তৃণমূল। ফল ঘোষণা হতেই তৃণমূলের জয়জয়কার এলাকাজুড়ে। শুরু হয় সবুজ আবির মাখিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানো। বাজনা বাজিয়ে তৃণমূল কর্মীরা বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন। যদিও এরই মাঝে ছ¨পতন ঘটে। এদিন হঠাৎ করেই সিপিএম কর্মী সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে যান বলে দাবি। সিপিএম সমর্থিত আদিবাসীরা রীতিমতো তীর ধনুক নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।
বাঁশ দিয়ে বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করার পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত হন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির সামাল দেন। আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আটক করা হয় এক যুবককে। এদিন বিকেল চারটে থেকে শুরু হয় সমিতির গণনা। প্রায় ৬টা নাগাদ কাঁকসার ২১টি পঞ্চায়েত সমিতিরû মধ্যে ১২টি আসনে জয়ী ঘোষণা হতেই বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা।
কাঁকসার অবজারভার তথা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই জয় মা মাটি মানুষের। এই জয় তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করেছেন। তিনি জানান, তৃণমূল জিতলেও বিরোধীরা বেশ কিছু জায়গায় জিতেছে। এটাই গণতন্ত্র যে বিরোধীরাও জিতেছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে এলাকায় কোথাও কোনও বিজয় মিছিল বা উৎসব হবে না। দলের পক্ষ থেকে কর্মীদের উদ্যেশ্যে তিনি এই বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। তবে এদিন সন্ধ্যায় কাঁকসা ব্লকের মধ্যে তিনটি জেলা পরিষদের গণনা শুরু হওয়ায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুরো ফলাফল পাওয়া যায়নি।