নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বাঁকুড়ার চারটি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৩৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিরোধীরা প্রার্থী না দেওয়ায় জয়ী হল তৃণমূল। শনিবার মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটিনি পর্ব মিটতেই জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়ে তৃণমূল। চলে আবির খেলা ও মিষ্টিমুখ। এটিকে নারকীয় উল্লাস বলে কটাক্ষ করল বিজেপি। তবে বিজেপির তরফে যাই বলা হোক না কেন, এই জয় ভোটের আগেই শাসকদলের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর মহকুমার সোনামুখী, ইন্দাস, কোতুলপুর ও বিষ্ণুপুর এই চারটি বিধানসভার প্রতিটিতেই জয়ী হয় বিজেপি। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিষ্ণুপুর মহকুমাতেই কার্যত ধরাশায়ী হতে হল বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে। বিষ্ণুপুর মহকুমার বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী এই দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি বাদ দিলে বাকি চারটি পঞ্চায়েত সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় দখল করল তৃণমূল। ইন্দাস, পাত্রসায়ের, জয়পুর ও কোতুলপুর এই চারটি পঞ্চায়েত সমিতিতে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হওয়াই নয়, ওই পঞ্চায়েত সমিতিগুলির অন্তর্গত মোট ৩৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনেও জয় পেয়েছে তৃণমূল। ওই চারটি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৩৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড গঠন এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। স্বাভাবিক ভাবেই আজ স্ক্রুটিনি পর্ব মিটতেই আনন্দ ও উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে ঘাসফুল শিবির। বিজেপির দাবি, সন্ত্রাস করে বিরোধীদের মনোনয়ন রুখে দিয়ে এই জয় হাসিল করেছে তৃণমূল। সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, বিরোধীরা সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে প্রার্থী দিতে না পেরে এখন তৃণমূলের ঘাড়ে মিথ্যা অভিযোগ চাপানোর চেষ্টা করছে।