নিজস্ব প্রতিবেদন, অণ্ডাল: বুধবার অণ্ডাল ব্লকের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য। যা নিয়ে পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে তৈরি হয় উত্তেজনা। তালা বন্ধ অবস্থায় দপ্তরের ভিতরে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকেন পঞ্চায়েতের কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর তালা খুলে দেওয়ার পর মুক্ত হন তাঁরা।
পঞ্চায়েত সদস্য সুমিতা বাউড়ি, সত্যম নন্দীরা দাবি করেন, তাঁরাই অফিসের সদর দরজায় তালা দিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ‘এলাকায় পানীয় জল নেই। ™ঞ্চায়েত থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে সংসদের বাসিন্দাদের কাছে অপমানিত হতে হচ্ছে আমাদের। প্রধানকে সমস্যার কথা জানিও কোনও লাভ হয়নি। পাশাপাশি তাঁরা একগুচ্ছ দুর্নীতির কথাও তুলে ধরেন। জল সরবরাহের জন্য টেন্ডার হয়েছে কিন্তু কে টেন্ডার পেয়েছে, কী ভাবে পেল? প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তা আমাদের জানানো হয়নি।’
প্রধান অপর্ণা বাদ্যকরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তাঁরা দাবি করেন, প্রধান বেলা দুটোর পর পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। ফলে সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যায়। মিটিংয়ে কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যকে ডাকা হয় না। অনেক কিছু বিষয়ে তাঁদের এড়িয়ে চলা হয়। সেই কারণে এদিন তালা ঝোলানো হয়েছে বলে দাবি সত্যমবাবুর। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান অপর্ণা বাদ্যকরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকরের দাবি, দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে কয়েকজন এদিন পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেন গণেশবাবু।