অভিষেককে সিবিআই-এর তরফ থেকে সোমবার যে নোটিশ পাঠানো হয়তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে।
এদিনের সিবিআই-এর তরফ থেকে পাঠানো এই চিঠি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক সাংবাদিক বৈঠকও করেন। আর এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, ‘অভিষেক আতঙ্কে ভুগছে বিজেপি৷ যে ভাবে তাঁকে নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। বিজেপি বুঝতে পারছে পথের কাঁটা তৃণমূল। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরার নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিষেককে।‘ একইসঙ্গে বিরোধী শিবির বিশেষত বিজেপিকে কটাক্ষা করে কুণাল এও বলেন, ‘যাঁরা নোটিশের আনন্দে উদ্বেল, তাঁদের জানাই, অভিষেককে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে তদন্তের প্রকৃত অর্থে সম্পর্ক নেই৷ হাইকোর্ট বিচারপতির কমপ্লায়েন্সে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ১৩ তারিখ যে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই নোটিশ। তবে এই মুহূর্তে এর আইনত বৈধতা নেই।’ এরই পাশাপাশি সিবিআইকে বিদ্ধ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন,‘তোমাদের এত তাড়া থাকলে, এফ আই আরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে কেন জেরা করা হচ্ছে না। বিজেপিই তো বলেছিল শুভেন্দু চোর।’
এদিকে বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেপ্তারি নিয়েও এদিন সরব হতে দেখা যায় তৃণণূলের এই মুখপাত্রকে। এই প্রসঙ্গে এদিন কুণাল এও বলেন, ‘দল গোটাটা দেখছে। সব তথ্য নেওয়া হচ্ছে। বিজেপি গোটাটা করছে।’
প্রসঙ্গত, শহিদ মিনারের সভায় অভিষেক দাবি করেছিলেন, মদন মিত্র, কুণাল ঘোষদের দিয়ে একসময় জোর করে তাঁর নাম বলানোর চেষ্টা করেছিল সিবিআই। কুন্তল ঘোষের গলাতেও শোনা যায় একই কথা। তাঁর দাবি সিবিআই আধিকারিকরা অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলেন।
এরপর এই নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। সোমবার সেই নির্দেশেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশও দেয়, কিন্তু এরপরও তলব আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে।