নিজস্ব প্রতিবেদন, পাণ্ডবেশ্বর: বিজেপির পোলিং ক্যাম্পে গিয়ে বসেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। বিজেপি কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি আড্ডাও দেন তাঁদের সঙ্গে।
পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে বিভিন্ন বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন বুথে শাসকদল এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করে বিরোধীরা।
বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েত সহ বেশ কয়েকটি বুথের সামনে জমায়েতের অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই বিষয়টি জানতে পেরে পাণ্ডবেশ্বরে যেতে গিয়ে হরিপুরে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পুলিশ সহ ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পাণ্ডবেশ্বরের এই প্রাক্তন বিধায়ক। এই নিয়ে যখন হরিপুর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তখন উলটপুরান দেখা গেল ওই বিধানসভা এলাকারই ডালুরবাঁধ এলাকায়। ওই এলাকায় বিজেপির পোলিং ক্যাম্পে গিয়ে বসেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। বিজেপি কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি আড্ডাও দেন তাঁদের সঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে নরেত্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি বরাবর বলি আমি যখন দলের প্রার্থী তখন আমি তৃণমূলের প্রার্থী আর আমি যখন বিধায়ক তখন আমি পুরো পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। বিজেপি যদি কোথাও এজেন্ট দিতে না পারে তা হলে আমরা কী করব? কোথাও অসুবিধা হলে আমাকে বলুক, আমি নিজে গিয়ে তাঁকে পোলিং বুথে বসিয়ে দিয়ে আসব। বিজেপির কাজই হচ্ছে কুৎসা রটানো আর সেটাই করছে ওরা।’