সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাজোসাজো রব শাক-বিরোধী দুই শিবিরেই। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে মেগা ফাইনা ধরলে সেমিফাইনাল হিসেবে বলা যেতেই পারে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে। যএখানে শাক বিরোধী দু-পক্ষই তাদের শক্তি যাচাই করে নিতে পারবে। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে তাই এতটুকু হাল্কা ভাবে নিতে রাজি নয় শাক শিবির। এদিকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে তৃণমূলের সবথেকে বড় ভরসা দলের মহিলা ব্রিগেড। আর সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। এ ব্যাপারে নববর্ষের আগেই তাই তিন দফায় সাংগঠনিক কর্মসূচিও তৈরি করে ফেলা হয়েছে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের তরফ থেকে। আপাতত যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রীরা বৈঠক করবেন ব্লকস্তরের সভাপতিদের সঙ্গে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১৩ থেকে ১৮ এপ্রিল ব্লক সভানেত্রীরা বৈঠক করবেন বুথ স্তরের মহিলা সংগঠকদের সঙ্গে। এরপর ১৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্য জনসভা করবে তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড। প্রচার করবে মমতা সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে। একই সঙ্গে মহিলা সেলকে আরও সংগঠিত করার উদ্যোগও নিচ্ছে শাসক দল। এ রাজ্যে পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তাই সাংগঠনিক আলোচনায় যেন প্রার্থী তালিকা কোনওভাবেই বিষয়বস্তুর মধ্যে না আসে, তা নিয়েও কার্যত নির্দেশ জারি করেছে মহিলা তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।
তৃণণূল মহিলা কংগ্রেসের এই নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি দিদির সুরক্ষাকবচের যে কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, এটি তারই একটি অঙ্গ। এরই পাশাপাশি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এও জানান, দলের এই কর্মসূচি কেবল নির্বাচন কেন্দ্রিক নয়, গ্রামীণ বাংলার ওপর আরও জোর দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী অবশ্য এও বলছেন, যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তাই সেক্ষেত্রে নির্বাচনের সময়ে মহিলা সংগঠকদের কী ভূমিকা থাকবে সেই নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। কিন্তু মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে যেন কোনওভাবেই আলোচনা না হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে।