পঞ্চায়েতে বিরোধিতায় বিজেপি নেতাকর্মীদের সরকারি প্রকল্প বন্ধের হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ‘তৃণমূল নেতারা চাইলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধিতা করায় প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে এবার বিজেপি নেতা কর্মীদের সরকারি প্রকল্প বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেতা। কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েনি বিজেপিও।
‘সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা নিয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারা বিজেপির পতাকা নিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতে গিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে কী ভাবে কী হয় তার খেলা শুরু হবে। মনে রাখবেন যেমন কুকুর তেমন মুগুর। তৃণমূল নেতারা চাইলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে।’ বাঁকুড়ার কোতুলপুরে প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতার এমন হুঁশিয়ারিতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সরকার ও তৃণমূল দল এক করে ফেলেছেন তৃণমূল নেতারা এই দাবি করে বিরোধীদের পালটা হুঁশিয়ারি এভাবে কোনও বিজেপি কর্মীর সরকারি প্রকল্প বন্ধ হলে আদালতের মাধ্যমে সেই অধিকার আদায় করে নেবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, মণিপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রে বিজেপির নীরবতা ও ব্যর্থতার প্রতিবাদে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করে তৃণমূল। সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা সোনামুখী পুরসভার উপ পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু কিছু বিজেপি নেতা চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে বলছেন রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল দেয়নি সেটা সরকার দিচ্ছে। তাই লক্ষ্মীর ভান্ডার আটকানোর কেউ নেই। আমি বলি সরকারটা কার? তোদের বাবার?’
এরপরই তৃণমূলের স্থানীয় কোতুলপুর ব্লক সভাপতি তরুণ নন্দীগ্রামীর নাম করে সোমনাথবাবু বলেন, ‘তরুণদা যদি মনে করেন যাঁরা বিজেপির পতাকা নিয়ে ঘুরছেন, তাঁদের লক্ষ্মীর ভান্ডার আটকে দেব, তাহলে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে না।’ এরপরই সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের সংযোজন, ‘মনে রাখবেন যেমন কুকুর তেমন মুগুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে মানুষের দরজায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যাচ্ছে তাই বলে বেড়াবেন, সেই দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। যারা এইরকম সব প্রকল্পের সব সুবিধা নিয়ে বিজেপির পতাকা কাঁধে মানুষের দরজায় গিয়ে ভোট চেয়েছেন তাঁদের লক্ষ্মীর ভান্ডার কীভাবে কী হয় তার খেলা শুরু হবে।’
পালটা ওই তৃণমূল নেতাকে তোলাবাজ বলে কটাক্ষ করে বিজেপির দাবি, এ ভাবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে কোনও বিজেপি কর্মীকে বঞ্চিত করা হলে সেক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে পুনরায় তা আদায় করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − one =