আরামবাগ জুড়ে পঞ্চায়েতে জয়ের ধারা বজায় তৃণমূলের

হুগলি: হুগলির আরামবাগে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ধারা অব্যাহত। গত পুর নির্বাচন ১৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। এবারের ২০২৩-এর ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরামবাগ ব্লকের ১৫ টি পঞ্চায়েতে জয়ের ধারা জারি রাখল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা কেন্দ্রে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল। যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সহ এজেন্টরা এদিন গণনা কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীদের সমর্থনে এসেছিলেন। গণনার আগে থেকেই গণনা কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা সবুজ আবীর খেলায় মেতে ওঠে। তবে এদিন ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গণনা কেন্দ্রগুলির সামনে দেখা গেল আধুনিক রাইফেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। অনেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনার ক্ষেত্রে যাকে বিরল বলেই মনে করছেন আরামবাগের মানুষ। সেই দৃশ্য দেখা গেল আরামবাগের কালিপুর নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের ভোট গণনার সময়। এদিন সবার লক্ষ ছিল আরান্ডি ১ পঞ্চায়েতের সাতমাশার ২৭৩ নম্বর বুথের ফলাফলের দিকে, প্রার্থী হয়েছিলেন বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান সোহরাব হোসেনে স্ত্রী। তাকে ওই বুথ থেকে নির্দল প্রার্থী ৪২৯ ভোটে পরাজিত করেছে। বলা যেতে পারে এই নির্বাচনে ভোট সংখ্যা বেড়েছে বামদের। শেষ খবর পাওয়া পযন্ত এবারের নির্বাচনে খানাকুল ১ নম্বর ব্লকে ১৩ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে দু’টি পঞ্চায়েত বিজেপি এবং তৃণমূল ১১টি পঞ্চায়েতে এগিয়ে রয়েছে।

খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি পঞ্চায়েত বিজেপি এবং ২টি তৃণমূল পাবার সম্ভাবনা। এরই সঙ্গে গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে তৃণমূল পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এগিয়ে আর গোঘাট দু’নম্বর ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটিতে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু হয়েছে বলে জানা গেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী জানান, বিধানসভায় বিজেপি দখল করলেও পৌরসভা থেকে জনগণ আমাদেরকে আশীর্বাদ দিতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সামনে রেখে তৃণমূলের এই জয়। আরামবাগের মানুষ দুহাত ভরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের আশীর্বাদ করেছে। বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগ জানান, চোরের মায়ের বড় গলা বলে একটা কথা রয়েছে। সারা পশ্চিমবাংলা জুড়ে যে ছাপ্পা হয়েছে সেই ছাপ্পারই জয় হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ । এবারের ভোটে খুন সন্ত্রাস ছাপ্পা রিগিং সবকিছুই হয়েছে। পরিশেষে বলা যেতে পারে এবারেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে সফল হল আরামবাগের তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + ten =