বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ভিডিওকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের ‘চক্রান্তে’র বিরুদ্ধে সোচ্চার হল ঘাসফুল শিবির। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরের তরফ থেকে তলব পেয়ে বুধবার হাজিরা দেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন -কমান্ড অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। ইন্ডি জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে যাওয়া আটকাতেই অভিষেককে ওই দিনই ইডি দিয়ে তলব করে কেন্দ্রীয় সরকার হেনস্থা করতে চাইছে বলে তোপ দাগে তৃণমূল। এদিকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের এক বিস্ফোরক মন্তব্যও হয়ে ওঠে তৃণমূলের তুরুপের তাস।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তলব প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘যেদিন ইডি কিংবা সিবিআই আমার পার্টির একটি লোককে ধরবে, যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আছে বা ছিল। আমি ভীষণ খুশি হব।’ টুইটার হ্যান্ডেল অর্থাৎ এক্স হ্যান্ডেলে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের এই অংশটুকু তুলে ধরেই কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানায় তৃণমূল। তৃণমূলের তরফ থেকে লেখা হয়, বিজেপির হেভিওয়েট নেত্রী তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই নিজের দলের উপর থেকে পর্দাটা সরিয়ে দিয়েছেন। তিনিও মনে করেন, বিজেপির যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। গ্রেফতার করা না হলেও ইডি-সিবিআই অন্তত দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুক। অভিষেককে ইডির তলবের দিনই এই ভিডিওটি পোস্ট করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এখানে একটা কথা বলতেই হয় যে, একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেও হার আটকাতে পারেনি। বাংলাকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার পর থেকে লাগাতার প্রতিবাদ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে দিল্লিতে ধরনার আওয়াজ তুলেছেন। ভোটে হেরে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী নেতা-মন্ত্রীদের বারবার হেনস্তা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এমন অভিযোগ বরাবর সরব তৃণমূল কংগ্রেস।