ত্রিপুরায় ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, তুলে ধরা হল ‘বাংলার মডেল’

ইস্তেহার প্রকাশেও ত্রিপুরাতেও ‘বাংলার মডেল’কেই তুলে ধরা হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। একইসঙ্গে ত্রিপুরাবাসীকে এ বার্তাও দেওয়া হল সেখানে উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্থাপিত করা হবে বাংলা মডেল। রবিবার ইস্তেহার প্রকাশ করে এমনটাই জানানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। এদিকে ত্রিপুরায় দলের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে সোমবার আগরতলায় যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তার আগেই, রবিবার ‘জিতবে ত্রিপুরা’ নামে ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল।

তৃণমূলের তরফে এদিন জানানো হয়,পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সেই আদলেই একাধিক প্রকল্প চালু করা হবে ত্রিপুরায়। চালু করা হবে ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ জাতীয় প্রকল্প। এই নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, টবাংলায় যেভাবে উন্নয়ন করা হচ্ছে, সেই রকম ভাবেই উন্নয়ন করা হবে ত্রিপুরার। উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলা মডেল স্থাপিত হবে ত্রিপুরার। আমাদের লক্ষ্য এখানে বাংলার মতই সুশাসন বা গুড গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠা করা।’ এদিন ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজা একইসুরে এও জানান, ‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে মডেল পশ্চিমবঙ্গ। ত্রিপুরায় ডবল ইঞ্জিন সরকার কেন্দ্রের প্রকল্পও বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মা-মাটি মানুষের সরকার যা যা বলেছে তা করেছে। আমরা এখানে যা যা বলছি সেগুলোও পূরণ করব। উন্নয়ন করা নিয়ে আমরা সস্তা রাজনীতি করি না।’ একইসঙ্গে ত্রিপুরার তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তারা সেখানে ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজীব এও জানান, ‘আমরা বিজেপির মত ভাঁওতা দিই না। আমরা এখানে যা যা বলেছি সুযোগ পেলে তার সবগুলোই পূরণ করব।’

এদিনেরএই ইস্তেহার প্রকাশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলার আরও এক মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, সেখানে স্বচ্ছ এবং গঠন মূলক সরকার গড়ার লক্ষ্য তৃণমূলের। এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য এও জানান, ‘এখানে গত পাঁচ বছরে বিজেপির এবং আগে বাম আমলে ত্রিপুরা অন্ধকারে ঢুবে গিয়েছে। বরং গত পাঁচ বছরে আরও অন্ধকার নেমেছে ত্রিপুরায়। সব ক্ষেত্রে নৈরাজ্য চলছে এখানে। আমরা চাইছি এখানের মানুষ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন।’ একইসঙ্গে ব্রাত্যর সংযোজন, ত্রিপুরায় ২ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ করা হবে। আর তার উল্লেখ রয়েছে নির্বাচনী ইস্তাহারেও।এই প্রসঙ্গে  তিনি জানান, সেখানে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা হবে। সেখানের পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডেরও ব্যবস্থা করা হবে। মহিলা এবং আদিবাসীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। ত্রিপুরার‍ দুয়ারে সরকার এবং আগরতলায় পুলিশ কমিশনারেট স্থাপন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের কৃষকদের বার্ষিক ১০ হাজার টাকা সাহায্য করা হবে এবং সেখানেও বাংলার মতই সমব্যাথী প্রকল্প চালু করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − two =