দিল্লি অভিযানে আস্ত ট্রেন বুক তৃণমূলের

৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের দিল্লি অভিযান। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে ধরনায় বসতে চলেছে তৃণমূলের প্রথম সারির সাংসদ, নেতানেত্রীরা। বাংলা থেকে বিপুল সমর্থককে নিয়ে গিয়ে রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘দুয়ারে’ ধরনার ডাক দেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। সূত্রের খবর, সেই দিল্লি যাত্রার উদ্দেশে আস্ত একটি ট্রেন বুক করেছে জোড়াফুল শিবির। ২০২৪ নির্বাচনের আগে এই ধরনার মাধ্যমে জাতীয় স্তরেও ছাপ ফেলতে চাইছে তৃণমূল। এই খবর সামনে আসতেই কটাক্ষ শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরের থেকে।

২১ জুলাইয়ের এর মঞ্চ থেকে দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই বকেয়ার দাবিতে ‘দিল্লি চলো’র ডাক। তৃণমূলের অভিযোগ, একের পর এক নির্বাচনে লাগাতার হেরে প্রতিহিংসায় বাংলার বরাদ্দ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অভিষেক হুঙ্কারের সুরে বলেছিলেন, ‘আগামী দিনের আন্দোলন দিল্লির বুকে হবে, কৃষি ভবনের বাইরে হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব সকলে।’

তৃণমূলে এই অভিযানে দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক এমনকী পঞ্চায়েত প্রধানকেও যোগ দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদেরও ধরনা দিতে নিজেদের খরচে তাদের দিল্লি নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে, সেই লক্ষ্যেই আস্ত ট্রেন ভাড়া করছে জোড়াফুল শিবির।

অন্যদিকে, তৃণমূলের এই দিল্লি অভিযান কর্মসূচি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে দিল্লি পুলিশ। বাংলা থেকে ঠিক কত সমর্থক দিল্লি যেতে পারেন সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে সেন্ট্রাল আইবিকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে দিল্লি অভিযানের আগে বর্তমানে চিঠি সংগ্রহের কাজ চলছে। ১০০ দিনের কাজ করেও যারা টাকা পাননি, তাদের থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে চিঠি। এছাড়াও এই ধরনা কর্মসূচিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোটের কারণে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নেতৃত্বের ব্যাটন থাকবে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন- কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + eight =