নিজস্ব প্রতিবেদন, হাওড়াn চুরি করার জন্য নোবেল দেওয়া হলে সেটা তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাবেন, রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার হাওড়া সদর সাংগঠনিক জেলার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম এলাকার কলাবাগান লেনের গার্ডেন প্যালেসে শিবপুর বিজয়া সম্মিলনীতে যোগদান করতে এসে তৃণমূলকে একহাত নেন সুকান্ত।
অভিষেকের ইডির কাছে হাজিরা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজকে অভিষেক ৬ হাজার পাতার নথিপত্র সহ কাগজ জমা দিয়ে এসেছেন। যেহেতু আজকে নথি জমা দিতে তাকে ডাকা হয়েছিল তাই খুব সহজেই তিনি গেছিলেন। যদি জেরার জন্য সমন জারি হত তাহলে উনি উচ্চ আদালত থেকে শীর্ষ আদালতে দৌড়োতেন। সেখানে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে কপিল সিববালের মতো আইনজ্ঞদের দাঁড় করাতেন। এই নথি পড়তে আধিকারিকদের সময় লাগবে। ফের তাকে ডাকবেন সেদিন সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে চা খেয়ে অনেকক্ষণ থাকতে হবে। ’
পাশপাশি বৃহস্পতিবার লোকসভায় মহুয়া মিত্রের এথিক্স কমিটির প্রসঙ্গে মহুয়াকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘বাংলার মহিলারা মা কালীর স্বরূপ, যদিও মহুয়ার মতো এত সস্তা বাংলার মেয়েরা নয়। সামান্য অন্যান্য সুবিধা নিতে নিজের লগ-ইন আইডি পাসওয়ার্ড অন্যকে দিয়ে দেন। আমি যতটুকু জেনেছি তার সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ সহ গোটা ঘটনা কোনও তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ঘটনা দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করে। এর এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত।’
পাশপাশি একশো দিনের কাজের টাকা দুর্নীতিতে যারা যুক্ত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নিলেই বকেয়া টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে দেবে বলেও দাবি করেন সুকান্ত। যদিও বুধবার বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার ফেসবুক লাইভ ও পোস্ট নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান নি সুকান্ত। তিনি বলেন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার মতো বিষয় বলে তিনি মনে করছেন না।