মনোনয়নের শেষ দিনে তৃণমূল প্রার্থীদের ঝড়। বিশেষ করে জেলা পরিষদের আসনগুলিতে এদিন হুগলির আরামবাগ মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে তৃণমূলের জেলাপরিষদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেখা যায়। তৃণমূলের এই সাংগঠনিক জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা মনোনয়ন জমা দেন। এদিন সকাল সকাল মনোনয়ন জমা দেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি পলাশ রায়। তিনি তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে আরামবাগ মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে হাজির হন এবং গোঘাটের বদনগঞ্জ এলাকার ৪৮ নম্বর জেলা পরিষদ থেকে তৃণমূলের চিহ্নে মনোনয়ন দেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, দলের নির্দেশমতো গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়ন প্রথম দিন থেকেই চলছে। আজকে আমরা জেলা পরিষদের আসনগুলিতে মনোনয়ন করছি। দলের বহু নেতা আছেন তারা মনোনয়ন জমা দেবে। দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্র্ণ নির্বাচন হবে। সেই মতোই মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের মতামত জানাবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে যদি কোথাও অসুবিধা হয় তাহলে আমাকে জানাতে বলবেন বা দলের অন্যান্য নেতাদের জানাবেন। আমরা তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেব। অপরদিকে হুগলি জেলাপরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি মেহেবুব রহমানও এদিন আরামবাগ মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন দেন। তিনি বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী তথা আমাদের সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে এবং আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে জেলা পরিষদের ৪৩ নম্বর সিট যেটা পুরশুড়া বিধানসভা এবং খানাকুল ১ নম্বর ব্লক পরে সেখান থেকে মনোনয়ন করতে এসেছি। আশা করি মানুষের আশীর্বাদে জয়লাভ করব। পাশাপাশি এদিন মেহেবুব রহমানের সঙ্গে পুরশুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা সদ্য বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে ফিরে আসা নেতা পারভেজ রহমানকে দেখা যায়। তিনি তৃণমূলের প্রার্থীদের পাশে থেকে মনোনয়নে সামিল হন। এই বিষয়ে পারভেজ রহমান বলেন, খুবই ভালো লাগছে, পুরনো সংসারে ফিরে এসেছি। সবমিলিয়ে মনোনয়নের শেষ দিনে তৃণমূল প্রার্থীদের উৎসাহ ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো।