চন্দনা বাউরির আত্মীয়দের মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার দাবিতে বিজেপি সমর্থক ও বিধায়িকা চন্দনা বাউরির আত্মীয়দের মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে নিয়ে আসা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার শালতোড়ার কেলাই গ্রামে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের জন্য গ্রাম জুড়ে লাগানো হয়েছিল তৃণমূলের দলীয় পতাকা। অভিযোগ, বাড়ির সামনে লাগানো তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেন বিজেপি সমর্থক ও চন্দনা বাউরির আত্মীয়রা। এরপর ওই পরিবারের ওপরে চড়াও হন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী। শুরু হয় বচসা, তখনই আচমকা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীরা ওই চারজন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই চারজনকে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বিধায়িকা চন্দনা বাউরি। পরে ওই চারজনকে স্থানান্তরিত করা হয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিধায়িকা চন্দনা বাউরি নিজে গাড়ি করে ওই চারজন আহত ব্যক্তিকে নিয়ে এসে ভর্তি করেন বাঁকুড়া মেডিক্যালে।
বিধায়িকা চন্দনা বাউরির দাবি, তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছেঁড়েননি তাঁর পরিবারের লোকজন। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ তাঁর পরিবারের ওপর হামলা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কর্মী বা সমর্থকরা কোনও ভাবেই যুক্ত নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 2 =