পুরাতন মালদায় আদিবাসী নবম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তদন্তে এল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তিন জনের প্রতিনিধি দল। সোমবার দুপুরে ওই প্রতিনিধি দলের তিন মহিলা সদস্য পুরাতন মালদা থানার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষণপুর গ্রামে মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। ওই দলে ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস, অ্যাডভাইজারি বোর্ডের সদস্য সুদেষ্ণা রায় ও লিগাল অফিসার সিদ্দিকা পারভিন। এদিন তাঁরা নিহত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এদিন তাঁরা পরিত্যক্ত ইটভাটায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনেও যান। পরে ইংরেজবাজারের সার্কিট হাউসে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন।
রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, এখনও পর্যন্ত নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। ফলে খুন করার আগে তার সঙ্গে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ গোটা ঘটনা নিয়ে জোরদার তদন্ত করছে। পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারির বিষয়ে পুলিশ আশাবাদী।
অন্যদিকে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের লিগ্যাল অফিসার সুদেষ্ণাদেবী বলেন, ‘অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে কাদের হাত রয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে সেদিন ওই নাবালিকা গ্রামে নাচ-গানের আসরে গিয়েছিল। ওই আসরে তার আত্মীয় স্বজনেরাও গিয়েছিলেন। কিন্তু সে কখন ওই আসর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, তা কেউ জানতে পারেন নি। আমরা পুলিশকে বলেছি, যাই হোক না কেন, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাও করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পুরাতন মালদা থানার বিষাণপুর ইটভাটার সংলগ্ন এলাকা থেকে মাথা থেঁতলানো অবস্থায় নবম শ্রেণীর আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও এই ঘটনাটি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।