মঙ্গলবার রাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর গ্রেপ্তার হওয়ার পর বুধবার সকালে তাঁরই বাড়ির বাইরের ডাস্টবিন থেকে মেলে বেশ কিছু ছেঁড়া কাগজ। উদ্ধার হওয়া কাগজগুলি আর্থিক লেনদেনের নথিপত্র বলেই অনুমান করা হচ্ছে বলে সূত্রে খবক। শুধু তাই নয়, সূত্র মারফৎ এও জানা যাচ্ছে, কয়েক লক্ষ টাকার লেনদেনের হিসেব লেখা রয়েছে ওই কাগজে। এছাড়াও ওই ছেঁড়া কাগজে মিলেছে একটি কনসালটেন্সির নামও।
সম্প্রতি, ইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা সুজয় কৃষ্ণর বাড়িতে হানা দেন। সেই সময় বাড়ি থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার হয়। গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি, সুজয়কৃষ্ণ বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে। এদিকে সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকুর দাবি, ২০১২ সালে যখন কোম্পানি তৈরি হয় সেই সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনিও ডিরেক্টর ছিলেন। ২০১৬ সালে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, ওই কোম্পানির ডিরেক্টর পদেও না থেকেও সুজয়কৃষ্ণ বেশ ভালভাবেই জড়িয়ে রয়েছেন এই সংস্থার সঙ্গে। অন্যদিকে, সলিটারেড এজেন্সি নামে দ্বিতীয় এজেন্সিরও নাম পাওয়া গিয়েছে। আর এই কনসাল্টটেন্সিগুলিতে কালো টাকা সাদা করা হতো বলেও মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। বহু ক্ষেত্রে নথি নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে এই কাকুর বিরুদ্ধে। এরপর বুধবার আবার ডাস্টবিন থেকে টুকরো নথি উদ্ধার হয়। এরপরই প্রশ্ন ওঠেনিয়োগ কেলেঙ্কারির কোনও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে তা নিয়ে। তবে এ ব্যাপারে এখনই মুখ খুলতে রাজি হননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরাই।